শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

এনায়েতপুরে থানার কাছেই পশুর হাট, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

এনায়েতপুরে থানার কাছেই পশুর হাট, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

স্বদেশ ডেস্ক:

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। থানার কাছে হলেও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যারাত অবধি চলে বেচাকেনা। এ অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সরেজমিন দেখা গেছে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুর থানা সংলগ্ন বালুর মাঠে পশুহাটে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। হাটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কাপড়ের হাট সংলগ্ন আমতলা ও এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক দখল করে চলে বেচাবিক্রি।

পাইকারি ক্রেতার পাশাপাশি স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেখানে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। অনেকের মাস্ক ঝুলছিল থুতনিতে। ইজারাদাররা হাটে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা রাখেননি। দূরত্ব বজায় না রেখে ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে পশু বেচাকেনা। এতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি অপরদিকে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকারিভাবে নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি নেই বলে জানান সচেতন লোকজন। যদিও সংক্রমণ এড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বছর অস্থায়ী পশুর হাটকে নিরুৎসাহিত করে পশু বেচাকেনায় অনলাইন বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে গরু বিক্রি করতে আসা মিনাদিয়ার মোসলেম ব্যাপারী বলেন, মাস্ক পরার ইচ্ছা থাকলেও গরুর বাজারের ভেতরে এসব নিয়ম মেনে চলা কঠিন কাজ। মানুষের ভিড়, পশুর যত্ন নেয়াসহ অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। ঝুঁকি জেনেও আমরা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারি না।

ভাঙ্গাবাড়ী থেকে গরু কিনতে আসা জোহায়েরুল ইসলাম জানান, হাটে স্বাস্থ্যবিধির খোঁজ নিলেন ভালো কথা, মাস্ক না পরা আমাদের অপরাধ, কিন্তু ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে ৮০০ টাকা হাসিল খরচ দিলাম, এটা কোন সরকারি নিয়ম।

এনায়েতপুর হাটের ইজারাদার আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চুকে এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন, গরুর হাটে আছি, কোনো কিছু শোনা যাচ্ছে না বলে ফোন কেটে দেন। তবে এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন কাজ করছে। নিয়মিত ঢহল অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে জানান, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে জানানো হচ্ছে। আর হাসিল বাবদ সরকারি রেটের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877