রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক, জামায়াত ছাড়ার পক্ষে সবার মত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক, জামায়াত ছাড়ার পক্ষে সবার মত

স্বদেশ ডেস্ক:

জামায়াতে ইসলামীকে ২০-দলীয় জোট থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন একজন ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির বাকি সদস্যরা। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এখন জামায়াত ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে বলে নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৫টা থেকে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী চলা স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের ভুলত্রুটি ও করণীয় নিয়ে আলোচনায় এ মতামত তুলে ধরেন নেতারা। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও গতকালের বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। জানা গেছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ কিছু পুরুষ নেতার বাধার কারণেই বিষয়টি গতকাল স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়নি।

ভার্চুয়াল এ বৈঠকে লন্ডন থেকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে নিজ নিজ বাসা থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,

বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও বন্যা পরিস্থিতির পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। একজন সদস্য দীর্ঘ সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। সেখানে স্থায়ী কমিটির ওই নেতা জামায়াত ছেড়ে দেওয়া, ভোটাভুটির মাধ্যমে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন। বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটির ওই নেতার বক্তব্যে অন্য সিনিয়র নেতারা একে অপরের কাছে ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেন।

বৈঠক সম্পর্কে স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, আজকের বৈঠকে জামায়াত ছেড়ে দেওয়া ও দল পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতের বিষয়ে জোটের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন এক নেতা ছাড়া বাকিরা সবাই ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে স্পষ্ট করে মত দেন। দেশি-বিদেশি সবার মতকে প্রাধান্য দিয়ে কাজটি করা উচিত বলেও মনে করেন নেতারা।

স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা বলেন, আগামীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটিতে নেতৃত্ব বাছাই হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। কোনো কমিটিই কাউন্সিলবিহীন বা অনির্বাচিত হবে না। করোনা পরিস্থিতির পরে বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কী হবে তা নিয়েই মূলত সবাই বক্তব্য দিয়েছেন। সবাই একমত হন, আগামীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটিই হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। এ সময় কমিটি গঠনে অতীতে ভুলত্রুটি নিয়েও কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তী বৈঠকে হবে। বৈঠকে চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীর সবাইকে সতর্ক থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877