শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন

ধরা পড়ার আগে যেসব জায়গায় পালিয়ে ছিলেন সাহেদ

ধরা পড়ার আগে যেসব জায়গায় পালিয়ে ছিলেন সাহেদ

স্বদেশ ডেস্ক:

অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

পরে সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পালিয়ে কোথায় কোথায় ছিলেন তা জানান।

জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ জানান, গত ৬ জুলাই যখন রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে তখন কক্সবাজারের মহেশখালীতে ছিলেন তিনি। ‍সেখানকার স্থানীয় দালালদের সহযোগীতায় একটি সাইক্লোন সেন্টারে ছিলেন। পরে সেখান থেকে চলে যান কুমিল্লার মীরা বাজারে। সেখানে থাকাকালীন র‍্যাবের গ্রেপ্তার অভিযানের খুব কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। কিন্তু র‍্যাব গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়।

সাহেদ আরও জানান, এরপর ১২ জুলাই ঢাকার গুলশানে আসেন তিনি। এখানে নিরাপদ মনে না করায় চলে যান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এর মধ্যেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে আজ ভোরে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।

এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার ছিলেন বলে জানায় র‌্যাব। এ সময় বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি করেন তিনি। র‍্যাব কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সাহেদ বলেন, ‘আমাকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না।’

নিজের পত্রিকার লাইসেন্স আছে উল্লেখ করে যেসব সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সাহেদ।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাহেদ একজন ঠাণ্ডা মাথার প্রতারক। তিনি আগেও জেলে গেছেন। ফলে আইনি বিষয়গুলো তার ভালোভাবেই জানা। সে নানা সময় নানা কথা বলছে। বিভ্রান্তিকর তথ্যও দিচ্ছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877