স্বদেশ ডেস্ক: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে কর্মচারীরা। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমেও। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। যারা তালা লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীবান্ধব পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন, ৪৪ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ১০ম গ্রেডপ্রাপ্ত ২৫ কর্মকর্তার পদমর্যাদা প্রদানসহ মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসনিক ভবনের দুই গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কয়েকজন কর্মচারীকে ৪৪ মাস থেকে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। ২৮৮ জনকে বকেয়া পরিশোধ করলেও ৫৮ জন কর্মচারীর বকেয়া পাওনা আছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ২৮৮ জনের বকেয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মামলার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
আবার ৫৮ জনের ক্ষেত্রে মামলার প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা অয়ৌক্তিক। বকেয়া বেতনের ৫৮ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। বিষয়টি আগেই চিঠির মাধ্যমে ইউজিসি’কে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তাই তারা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫৮ জনের বকেয়া আটকে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মাহবুবার রহমান বলেন, ‘আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন কোনো সহযোগিতা বা আলোচনার ইঙ্গিত না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তালা দিয়েছি। দাবী আদায় অথবা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আমরা তালা খুলবো না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র তবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারি সমন্বয় পরিষদ নামে কোনো সংগঠন নেই। ওই ব্যানারে যারা আন্দোলন করছে তার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যে দাবিতে তারা আন্দোলন করছে সেই দাবিগুলো মিমাংসার পথে। যেহেতু তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।