স্বদেশ ডেস্ক: এক ফুল, দুই মালি। একজনকে পেতে দুই নারী এখন মরিয়া। ফুলের নাম মিজানুর রহমান বাবু। দুই নারীর একজন ঢাকার একটি গার্মেন্টসের কর্মী অন্যজন সাভার ইপিজেড এ কাজ করেন। ঘটনাটি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের। ওই দুই নারী ঢাকা থেকে তারাগঞ্জের হারিয়ালকুঠি ইউনিয়নের সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে বাবুর বাড়িতে এসে উঠেছেন বিয়ের দাবিতে। কিন্তু বাবুর পরিবার তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে গভীর রাতে এলাকাবাসীর দাবির মুখে বাবুর মা তাদের দুজনকে বাড়িতে তুলতে বাধ্য হন। ওই দুজন নারী ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং থানার ওসিকে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। জানা গেছে, প্রেমিক মিজানুর রহমান বাবু রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। পাশাপাশি গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি মেসের ম্যানেজারের কাজও করেন। নিজের দুই ছোটভাইকে নিয়ে থাকেন ঢাকার আমতলীতে। এরইমধ্যে মিজানুর রহমান বাবু এ দুই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের জেরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের একজন স্বামী পরিত্যক্তা (২৬) নারী। স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর বাড়ি জামালপুর জেলার মাদরগঞ্জ উপজেলার চন্নগড়ে। অপর নারী সাভার ইপিজেড-এ কাজ করেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। থাকেন সাভারের বাইপাইলের আমতলায়।
এ দু’জনের সঙ্গেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে সম্পর্ক বাবুর। স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারীর সঙ্গে আমতলীর মেসে শারীরিক সম্পর্কের সময় এলাকাবাসীর কাছে আটক হয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পান বাবু। তবে মেস থেকে বেরিয়ে ওই নারীকে ফেলে গ্রামে পালিয়ে আসেন বাবু। এদিকে বাবুকে খুঁজতে গিয়ে মেসের ওই ঘটনা জানতে পারেন ওই ইপিজেড কর্মীও। এরপর খুঁজে বের করেন বাবুর লালসার শিকার স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারীকেও। তারপর দু’জনই বাবুর বাড়িতে এসে ওঠেন।