স্বদেশ রিপোর্ট: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় ১০ সামরিক কর্মকর্তাকেও রাখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার পর ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে গতকাল সোমবার নজিরবিহীন এ পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যখন চরম উত্তেজনা চলছে, তখনই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প। এর ফলে ইরানের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ আটকা পড়বে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করা হয়েছে, তবে অন্য কোনো কারণে হলেও এটি আরোপ করা হতো।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সরকার শত্রুতামূলক আচরণ করছে দাবি করে এর জন্য খামেনিকে দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে সর্বোচ্চ নেতা ও সর্বোচ্চ নেতার দপ্তর এবং তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্টরা ও তাদের দপ্তরগুলো প্রধান অর্থনৈতিক উৎস ও সমর্থন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’
এসব কর্মকর্তা সন্ত্রাসবাদের মূল ইন্ধনদাতা অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, তাদের নির্দেশেই সম্প্রতি উপসাগরীয় এলাকায় তেল ট্যাংকারে হামলা এবং মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন কূটনীতি নয়, বরং যুদ্ধের জন্য মুখিয়ে রয়েছে।