বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন

রেলের ঝোঁক নতুনে পুরনো লাইন বিমাতা

রেলের ঝোঁক নতুনে পুরনো লাইন বিমাতা

স্বদেশ ডেস্ক: সড়কপথের তুলনায় রেলপথ অনেকটাই নিরাপদ মনে করা হলেও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ; এসব প্রকল্পের বদৌলতে বিদেশ বিলাসিতা ও পকেট ভারি করার দিকেই ঝোঁক রেল কর্তৃপক্ষের। পুরনো রেলপথ মেরামত বা সংস্কারের প্রতি তাদের আচরণ অনেকটা বিমাতাসুলভ, সেদিকে কোনও নজর নেই। মূলত রেলপথের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বরমচালে রেলব্রিজ ভেঙে রবিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনকে দায়ী করা হয়েছে। গতরাত পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। দুর্ঘটনাটি কেন ঘটছে তা জানতে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

অভিযোগ আছে, রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনেক সময় রেলপথ পরিদর্শন না করে অফিসে বসেই রুটিন প্রতিবেদন দেন। ফলে রেলপথের প্রকৃত ত্রুটিই থাকে উপেক্ষিত। অথচ গত ১০ বছরে প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে রেল খাতে। কিন্তু রেল রয়ে গেছে সেই পুরনো তিমিরেই। অহরহ ঘটছে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা।

রবিবার রাতের উপবন ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়। বৈঠকে ঢাকাগামী পারাবত ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী। তিনি সেখানে বলেন, সড়কপথ বিচ্ছিন্ন থাকায় রেলপথে বাড়তি চাপ ছিল। তবে পুরনো রেলব্রিজ মেরামতের বিষয়টিও গুরুত্ব পায় গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আমাদের সময়কে বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আর যেসব স্থানে রেলব্রিজ পুরনো, সেগুলো সংস্কার করা হবে। পুরনো রেলপথের সংস্কারের ব্যাপারেও জোর দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম আমাদের সময়কে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের পর বোঝা যাবে কেন দুর্ঘটনাটি ঘটল। রেলপথের কোথাও ত্রুটি থাকলে ট্রেন চলতে দেওয়া হয় না। রুটিনকাজ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা।

রেল সূত্র জানিয়েছে, দেশে প্রায় ২৮৮৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এর অধিকাংশ রেল সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে ১৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলেট-কুলাউড়া-আখাউড়া সেকশনে রেললাইনে ছোট-বড় মিলে ২৫০টির বেশি সেতু রয়েছে। ৬০-৭০ বছর আগে নির্মিত এসব সেতু সংস্কার না করায় সেগুলোর অবস্থা বেহাল। অরক্ষিত থাকায় রেললাইনের ক্লিপ-হুক, নাট-বল্টু ও ফিশপ্লেট চুরি হচ্ছে। এসব রেলপথ সংস্কার না করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে থাকে রেলের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়াও আছেন সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ওয়ে) এবং সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ব্রিজ) তদারকরি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। রেল সেতু মেজর ও মাইনর দুভাগে বিভক্ত। ব্রিজ ইঞ্জিনিয়াররা বড় সেতুগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকেন। ছোট সেতু মেরামত করার কথা রেলপথ ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে। এগুলোর কোনোটাই সময়মতো মেরামত হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ অনেক আগ থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ। এটির মেরামতে অবহেলার বড় কারণ ছিল নতুন প্রকল্প নেওয়া। মানে আখাউড়া-সিলেট রেলপথ ডাবল লাইন করা হবে চীনের জিটুজি পদ্ধতিতে। ১৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প গত ৯ এপ্রিল অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এ রকম যেসব এলাকায় নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়, সেগুলো মেরামতে উপেক্ষিত থাকে।

রেলে নতুন প্রকল্পে ঝোঁক থাকলেও মেরামতে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয় না। রাজস্ব খাত বা জিওবি অর্থায়নে পুরনো রেলপথ বা সেতু মেরামত হয় না সময়মতো। রেললাইনের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ পাথর, স্লিপারের বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে। গত ১০ বছরেও পুরনো রেলওয়ে ব্রিজ সংস্কারে নেওয়া একটি প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।
এ বিষয়ে কথা হয়েছে রেলের সাবেক মহাপরিচালক টিএ চৌধুরী ও আমজাদ হোসেনের সঙ্গে।

তারা দুজনই বলেছেন, পুরনো ব্রিজ মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। বর্তমান মহাপরিচালক বলেছেন, রেলপথ নিয়মিত তদারকি করা হয়। যেসব স্থানে ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রেল দুর্ঘটনার পেছনে অন্তত ৫টি কারণ চিহ্নিত। মেয়াদোত্তীর্ণ লোকোমোটিভ ও কোচ, ওয়ার্কশপ সংকট, যান্ত্রিক ত্রুটি, চালকের পরিচালনাগত ত্রুটি, রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি এবং দুর্বল সিগন্যালিং ব্যবস্থা। অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে কোনো রকমে চালানো হচ্ছে ট্রেন। চালকের বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত ডিউটি, ঘুমের প্রভাব এবং অসচেতনতায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া চলমান ট্রেনগুলোর ৮০ শতাংশ ইঞ্জিন মেয়াদোত্তীর্ণ। ফলে বেড়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি। ওয়ার্কশপে পর্যাপ্ত লোকবল নেই, রয়েছে অব্যবস্থাপনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রেললাইনে কিংবা রেলের চাকায় ত্রুটি দেখা দিলে লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ আছে-সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা রেললাইন পরিদর্শন না করে অফিসে বসে পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দেন। আবার অনেক ট্রেন ওয়ার্কশপে পাঠানো হলে লোকবল সংকটের দোহাই দিয়ে যথাযথভাবে ত্রুটিমুক্ত করা হয় না। এসব কারণে রেলে চলছে দুর্ঘটনা আর খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ যাত্রী। রেললাইনে পাথর সংকটের বিষয়টি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে একাধিকবার। তা ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সিøপারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে রেলের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে। কিন্তু প্রতিকার নেই।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১ হাজার ৬৩৯টি ছোট-বড় সেতুর মধ্যে মেরামতযোগ্য সেতুর কোনো তথ্য নেই প্রকৌশল বিভাগে। এর মধ্যে মেজর ব্রিজ ৬৭ এবং মাইনর ব্রিজ এক হাজার ৫৭২টি। আখাউড়া-সিলেট সেকশানে ২৮৮ সেতুর মধ্যে মেজর ৫ এবং মাইনর ২৮৩টি। এসব সেতুর মধ্যে কতটি মেরামতযোগ্য তার কোনো তথ্য জানা নেই প্রকৌশল দপ্তরে। অথচ প্রতিবছর মেরামতযোগ্য সেতুর তালিকা প্রণয়ন করে কাজ করার কথা। গতকাল সোমবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরে প্রকৌশল বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার কাছে গিয়ে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রধান প্রকৌশলী আবদুল জলিল ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। তাদের মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু রিসিভ করেননি।

এদিকে বরমচাল-কুলাউড়া সেকশনের ৯ নম্বর সেতুতে দুর্ঘটনা ঘটনার প্রায় ৩ মাস আগেই দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিলেন স্থানীয়রা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লুৎফুর রহমান রাজু নামে এক ব্যক্তি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রেললাইনে ক্লিপ ছাড়াই চলছে রেলগাড়ি।’ সেখানে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের আশপাশের রেললাইনের একাধিক স্থানে স্লিপার ভাঙা এবং স্লিপার ক্লিপ নেই। এতে নড়বড়ে হয়ে গেছে রেললাইন। যে কোনো সময় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আতাউল হক ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন এক হাজারেরও বেশি রেলক্রসিং অরক্ষিত। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, মারা যাচ্ছে মানুষ। এদিকে এই অঞ্চলের শতাধিক রেল সেতু, কালভার্ট, ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আওতাধীন কিছু অরক্ষিত রেলক্রসিং থাকলেও রেল সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তাই সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ১ হাজার ২৪৯টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে প্রায় সাত শতাধিক রেলক্রসিং এখনো অরক্ষিত। রাজশাহী মহানগরীর ২৮টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১১টি অরক্ষিত রয়েছে। আর্থিক কারণে অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো পাহারাদার নিযুক্ত করতে পারেনি। তাই অরক্ষিত ক্রসিংগুলোয় নেই কোনো গেটম্যান ও গেট ব্যারিয়ার। নেই ডিভাইস পদ্ধতির সিগন্যাল সিস্টেমও। ফলে বাধ্য হয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এসব রেলক্রসিং পার হচ্ছে হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এই রেলক্রসিংগুলো অনেকটা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ছয় মাসে রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন শতাধিক রেল সেতু, কালভার্ট ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ বলে রেলওয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। কয়েকটি সেতু অনেক পুরনো হওয়ায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে তিস্তা রেল সেতু অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সারাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে একমাত্র তিস্তা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২০টি ট্রেন ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে।

সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয় তিস্তা রেল সেতু। নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৮৩৪ সালে ২ হাজার ১ শত ১০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ সেতুটি নির্মাণ করে। ১৮৩৪ সালে নির্মিত সেতুটির মেয়াদ ওই সময় ধরা হয়েছিল ১ শত বছর। বর্তমানে যার বয়স চলেছে ১৮৫ বছর। অর্থাৎ মেয়াদের প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করছে রেল সেতুটি। ফলে সেতুটি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেন্ডেন্ট আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লাইন ‘রিনুয়াল’ করা হয়েছে। অধিকাংশ রেললাইন নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। এ কারণে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন যে রেল সেতু, ব্রিজ-কালভার্টগুলো রয়েছে সেগুলো বেশ মজবুত। তাই আপাতত এই অঞ্চলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।’

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল শাখার প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, পূর্বাঞ্চলে রেলওয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ঠিক আছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রবিবার উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্ঘটনা তদন্তে জোনাল এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন জানান, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) আ. জলিল, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) সুজিত কুমার ও চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম অফিসার (পূর্ব) ময়নুল ইসলাম। এ ছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্তের জন্য ঢাকার ডিটিও ময়নুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

তা ছাড়া শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, ডিএমই (পূর্ব), চট্টগ্রাম; ডা. আ. আহাদ, ডিএমও; আবু হেনা মোস্তফা আলম, ডিএসটিই এবং আহসান জাবির, ডিইএন-২ সদস্য হিসেবে রয়েছেন। উভয় তদন্ত কমিটিকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রেল দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রী সেবার মান ও ট্রেনের গতি গাণিতিক হারে নিম্নমুখী হচ্ছে। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি অথবা কারিগরি ত্রুটি, ঠিকাদারের দুর্নীতি যেটাই দায়ী হোক না কেন, জড়িত তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877