বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন

ডেঙ্গু আতঙ্ক : প্রতিরোধই সমাধান

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯

স্বদেশ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেছে ডেঙ্গুজ্বরের মৌসুম। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছে। কারো কারো ভর্তিও লাগছে। ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগই খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মোটামুটি সবাই জানেন, এডিস মশকীর মাধ্যমে এই রোগ হয়। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগীকে কোনো এডিস মশকী কামড়ালে সে নিজেও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যায়। এই মশকী যখন আরেকজন স্স্থু ব্যক্তিকে পুনরায় কামড়ায়, তখন স্স্থু মানুষটিও ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়। তাই, ডেঙ্গুরোগবাহিত মশকীর কামর থেকে দূরে থাকলেই শুধু ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ রোগের কোনো টিকা এখনো চালু হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো পাওয়া যাবে।

প্রতিরোধ : সাধারণত বর্ষা মৌসুমে দিনের বেলায় বিশেষ করে সন্ধ্যার আগে এবং ভোর বেলায় এডিস মশকী কামড়ায়। তাই দিনের বেলা ঘুমাতে চাইলে মশারি টাঙিয়ে নিতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে পুনরায় রোগীকে কোনো মশকী কামড়াতে না পারে। নিজ দায়িত্বে বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশে এমন কোনো অব্যবহৃত জিনিস রাখা যাবে না, যাতে পানি জমতে পারে।

যেমন-ভাঙা ফুলের টব, অব্যবহৃত কৌটা, ভাঙা ফুলদানি, ভাঙা বেসিন, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, মুখ খোলা পানির ট্যাঙ্ক, প্লাস্টিকের প্যাকেট, পলিথিন ইত্যাদি। উপসর্গ : উচ্চজ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথা-চোখে, জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে, মাংসপেশি অথবা হাড়ে। হামের মতো র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি, নাক, দাঁতের মাড়ি থেকে অল্প রক্তপাত ইত্যাদি সাধারণত ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ।

লক্ষণগুলো রোগীর বয়স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ছোট্ট শিশু ও প্রথমবার আক্রান্তদের থেকে বয়স্ক, শিশু ও দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের মধ্যে রোগের তীব্রতা বেশি হয়। সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই জ্বরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। তবে তীব্র পেটব্যথা ও ক্রমাগত বমি, ত্বকে লাল দাগ, নাক ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে, বমির সঙ্গে রক্ত আসলে, কালো বা আলকাতরার মতো পায়খানা হলে, ত্বক ফ্যাকাসে, ঠা-া ও স্যাঁতসেঁতে হলে, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

চিকিৎসা : এই রোগের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই রোগের লক্ষণগুলোর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন। প্রচুর পানি ও তরল খাবার (খাবার স্যালাইন, ঘরে তৈরি ফ্রেশ জুস, শরবত, ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি) দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর বারবার মুছে দিন। মাথায় পানি, কপালে জলপট্টি দিন। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়ানো যায় কিন্তু রোগীকে অ্যাসপিরিন, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক বা এ জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ