বিনোদন ডেস্ক : আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাংলাদেশ অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আদালত অবমাননার এবং নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণে ওপর আগামীকাল সোমবার নিষেধাজ্ঞা চাইবেন বাদী। আজ রোববার মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ আইনজীবী বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ গত বৃহস্পতিবার আদালতের প্রসেস সারভার সমিতির কার্যালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু বিবাদীরা তা গ্রহণ না করে প্রসেস সারভারকে মারধর করেন। তাই প্রসেস সারভার নোটিশ লটকিয়ে জারি করেন। এরপরও নির্বাচন কমিশন এবং বিবাদীরা নির্বাচন করেছেন। তাই রোববারই তারা আদালত অবমাননার এবং নব নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণে ওপর নিষেধাজ্ঞা আবেদন দাখিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক না থাকায় দাখিল করতে পারেননি। এ কারণে সেটি আগামীকাল দাখিল করবেন।
এর আগে গত ১৯ জুন ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত ২১ জুনের নির্বাচনের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাচ্চুসহ আট বিবাদীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ অভিনয় শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির গত ২২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ সভায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। গত শুক্রবার নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য শেখ মো. এহসানুর রহমান, নুর মোহাম্মাদ রাজ্য ও আব্দুল্লাহ আল বাকী ওরফে আব্দুল্লাহ রানা বাদী হয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জজ আদালতে একটি মামলা করেন। অভিনয় শিল্পী সংঘের গঠনতন্ত্রের ১৫(৬) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
মামলায় বিবাদী করা হয় বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, নির্বাচন কমিশনের সদস্য খায়রুল আলম সবুজ, মাসুদ আজিজ ও বিন্দাবন দাস, কমিটির সদস্য কে এস ফিরোজ, লাকী ইনাম, নারেশ ভূঁইয়া। এ ছাড়া মামলায় মোকাবিলা বিবাদী করা হয় জেলা সমাজ কল্যাণের উপ-পরিচালককে।
অভিনয় শিল্পী সংঘের ২০১৯-২১ মেয়াদ নির্বাচনে মোট ২১টি পদের জন্য লড়াই করছিলেন ৫১ জন শিল্পী। ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬০০।
শিল্পী সংঘ নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন, সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, সহসভাপতি আজাদ আবুল কালাম, ইকবাল বাবু ও তানিয়া আহমেদ। সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান ও আনিসুর রহমান মিলন। অর্থ সম্পাদক নূর এ আলম (নয়ন), সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান জর্জ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), দপ্তর সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রাণ রায়, অনুষ্ঠান সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক শামীমা ইসলাম তুষ্টি, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুজাত শিমুল।
এ ছাড়া সাতজন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচিতরা হলেন, নাদিয়া আহমেদ, সেলিম মাহবুব, জাকিয়া বারী মম, বন্যা মির্জা, মুনিরা বেগম মেমী, শামস সুমন ও রাজীব সালেহীন।