স্পোটর্স ডেস্ক : বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে দু’দলের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ১৪.৫ ওভারে ৮১ রান তোলে পাকিস্তান। বিধ্বংসী ফখর জামানকে দলীয় ৮১ এবং ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ফিরিয়ে আফ্রিকানদের ব্রেক থ্রো এনে দেন ইমরান তাহির। নিজের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ইমাম উল হককে দলীয় ৯৮ ও ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরান দলকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই উইকেট হারিয়ে ২১.৩ ওভারে ১০০ রান। বাবর আজম (৯) ও মোহাম্মদ হাফিজ (১) রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
বড় দল, বড় নাম, বড় তারকা- কি নেই এই দুটি দলের! স্বাভাবিকভাবেই চলমান বিশ্বকাপের শুরু থেকেই, আরো ভালো ভাবে বললে, বিশ্বকাপের কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসরের সেমিফাইনালের প্রত্যাশিত দলগুলোর মাঝে মধ্যেই নাম ছিল পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু প্রত্যাশা আর বাস্তবের মধ্যে বিস্তর ফারাক।
চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও প্রোটিয়াদের পারফরম্যান্স যেন কোনোভাবেই ক্রিকেট ভক্ত ও বোদ্ধাদের মন ভরাতে পারছে না। যাই হোক বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামছে আমির-বাবর আজমরা। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
এই ম্যাচে পাকিস্তান একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও হাসান আলির জায়গায় ঢুকেছেন তরুণ হারিস সোহেল এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কোনো পরিবর্তন নেই।
হট ফেভারিট হয়ে এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার টুর্নামেন্টটা কাটছে দুঃস্বপ্নের মতো। শুরু থেকেই বিপর্যস্ত অবস্থা তাদের। ৬ ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। তাও সেটা আবার দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৮ম স্থানে থাকায় তাদের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও কার্যত ‘শেষ’ হয়ে গেছে।
আর ১৯৯২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানও আছে নড়বড়ে অবস্থানে। আরো ভালো ভাবে বললে, বিভিন্ন হিসেবের ওপর দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে ইমরান তাহির-আমলাদের বিপক্ষে জিততেই হবে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান ধরতে গেলে প্রোটিয়াদের থেকে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। প্রোটিয়াদের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেও সমান সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে সরফরাজবাহিনী। তাই সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচটি অবশ্যই জিততে হবে পাকিস্তানকে। একই সঙ্গে জিততে হবে বাকি তিন ম্যাচও।