স্বদেশ ডেস্ক:
বাসের ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই যৌক্তিকভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এরপর এ আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার বাসের ভাড়া শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। আবেদনের ওপর নিজেই শুনানি করেন তিনি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
চার যুক্তিতে করা রিট আবেদনে প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ওই প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা হিসেবে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চাওয়া হয়েছিল হুমায়ুন কবির পল্লবের আবেদনে।
এ আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
রিট করার পর আইনজীবী পল্লব বলেছিলেন, ‘৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৈক্তিক। এটা সাধারণ মানুষের ওপর একটি নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলকও। যাদের প্রাইভেটকার নেই, সেই সব নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গণপরিবহনে দেশের সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে।’
তিনি বলেছিলেন, ‘অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের অধিকাংশ কর্মহীন হয়ে বেকার এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে আরও বেশি বিপর্যস্ত ও হতাশাগ্রস্ত করেছে। এ কারণে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চেয়ে জনস্বার্থে রিট করা হয়।’
করোনাকালে বাসভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বাসবাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে।