সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

এখনই শিথিলতা প্রশ্নবিদ্ধ

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

আবু আলী:

দেশে করোনা আক্রান্তের হার যখন ক্রমবর্ধমান, ঠিক সেই সময় সরকার ৩০ মের পর ছুটি আর না বাড়িয়ে সবকিছু সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বিধি কি সেভাবে মেনে চলা হচ্ছে? সীমিত আকারে সব খুলে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধির হালইবা কী হবে? বিষয়গুলো নিয়ে গতকাল টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, ‘দৃশ্যত জীবন ও জীবিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব মুখোমুখি। এটি সমন্বয় করতে গিয়ে সরকার জীবিকাকে প্রাধান্য দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো ব্যবসায়ী মহলের চাপ ছিল। এর আগে গামেন্টস ব্যবসায়ীদের চাপে গার্মেন্টস খুলে দিয়েছিল। তবে যখন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তখন সবকিছু শিথিল করাটা প্রশ্নবিদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তাদের সংক্রমণের হার কমার পর লকডাউন

শিথিল করেছে। ছাড় দেওয়া হলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে।’ তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন অবনতির দিকে। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই কমবেশি ২০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে দুই হাজার ২৯ জন। সব মিলিয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার। আর এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫৫৯ জন। সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি শিথিল করা প্রশ্নবিদ্ধ।’ তিনি বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরি প্রয়োজনীয় কাজের পরিসর আরও বাড়ানো যেত। কিন্তু সবকিছু উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলে বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়বে।

এই মহাদুর্যোগেও জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে নেই। আবার যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে যায়নি। আবার যারাও গেছেন তারা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। আসলে তাদের জনপ্রনিধি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা নেই। তাদের মৌলিক গুণাবলি থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাদের চিরতরে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে এরা আবারও নির্বাচিত হয়ে অনিয়মের সাথে যুক্ত হবে।’

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ