স্বদেশ ডেস্ক : চিৎকার চেঁচামেচি। বাসন-কোসন ফ্লোরে পড়ার শব্দ। এর মধ্যে চিৎকার করে এক নারী বলছেন, আমাকে ছাড়, আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও! এই কথাগুলো ক্যারি সিমন্ডস নামে এক নারীর।
আর এই সিমন্ডস হলেন, যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের বান্ধবী। এই দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে সিমন্ডসকে জনসনের প্রতি এমন কথা বলতে শোনা যায়। আর এমন পরিস্থিতি দেখে এক প্রতিবেশী পুলিশকে খবর দেন।
কালক্ষেপণ না করে তাদের ঝগড়ার মাঝে পুলিশ গিয়ে হাজির। খবর বিবিসি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণার পর এখন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বরিস জনসন।
আর দলের প্রধান হলেই তিনিই হবেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর তাই হয়তো এই হবু প্রধানমন্ত্রীর এমন ঝগড়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খোরাক হয়েছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথম প্রহরের দিকে একটি ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান।
ফোন করে ওই ব্যক্তি তার প্রতিবেশী এক নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে বিবৃতিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্বেগজনক কিছু পায়নি বলেও জানায়। প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, তিনি এক নারীর চিৎকার এবং সবেগে কিছু ছুড়ে ভেঙে ফেলার আওয়াজ পেয়েছেন।
শব্দ এত জোরে আসছিল যে প্রতিবেশীরা নিজেদের ফ্ল্যাটে বসে সেগুলো রেকর্ড করেছেন বলেও জানায় গার্ডিয়ান। রেকর্ডে জনসনকে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ‘যাব না’ বলতে এবং এক নারীকে তার ল্যাপটপ ছেড়ে দিতে বলতে শোনা যায়।
তার পরই সেখান থেকে প্রচণ্ড শব্দে কিছু ভাঙার আওয়াজ আসে। সিমন্ডসকে বলতে শোনা যায়, তুমি কিছুই পরোয়া কর না, কারণ তুমি নষ্ট হয়ে গেছ। তোমার কাছে অর্থ বা কোনো কিছুর মূল্য নেই। বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। দলীয় প্রধান নির্বাচনের সময় নেতাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আমলে নেওয়া হবে।