বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন

জীবাণুনাশক ছিটানো ‘অকার্যকর’ ও ‘ক্ষতিকারক’ : ডব্লিউএইচও

জীবাণুনাশক ছিটানো ‘অকার্যকর’ ও ‘ক্ষতিকারক’ : ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাড়ির সামনে, রাস্তায়, মার্কেটে কিংবা শপিংমলে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশে। তবে এভাবে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে করোনাভাইরাস নির্মূল করা যায় না। এটি অকার্যকর এবং এতে মানুষের স্বাস্থ্য আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে ভূপৃষ্ঠ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার প্রকাশিত ওই নথিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটা জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

ওই নথিতে, কোভিড-১৯ ভাইরাস কিংবা অন্য জীবাণু দূর করতে ঘরের বাইরে যেমন রাস্তা বা মার্কেটের জায়গায় জীবাণুনাশক না ছিটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ময়লা আবর্জনার মধ্যে জীবাণুনাশক অকার্যকর। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে রাস্তা কিংবা ফুটপাত ‘সংক্রমণের আস্তানা’ হিসেবে কাজ করে না। স্প্রে করার কারণে মানুষের আরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

এই নথিতে আরও বলা হয়েছে, জীবাণুনাশক ছিটানো শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিকারক হতে পারে। এছাড়াও এটি সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা হ্রাস করে না। তাই কোনো অবস্থাতেই ক্লোরিন কিংবা অন্য কোনো রাসায়নিক জীবাণুনাশক মানুষের দেহে স্প্রে করা যাবে না। যদি জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হয় তবে পোশাক কিংবা ব্যবহার্য জিনিসপত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হলে চোখ এবং ত্বকের জ্বালা, ব্রঙ্কোস্পাজম এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের প্রভাব দেখা যেতে পারে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ। আর এতে মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ২৬৮ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877