ভারতের মুম্বাইয়ের হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে করোনা রোগীদের ভর্তির সংখ্যা। সেই চাপে কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মুম্বাইয়ের তিনটি ৫০০ বেডের হাসপাতাল এরই মধ্যে রোগী ভর্তি নেয়ার জায়গা নেই।
রোগী রোগী ভর্তির চাপ বাড়তেই থাকায় অগত্যা হাসপাতালগুলোকে বাধ্য হয়ে রোগীদের বেডের মধ্যে দূরত্ব কমানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। এক ভারপ্রাপ্তের প্রশ্ন, ‘যেখানে রোগীরা আগে থেকেই সংক্রমিত, তাহলে দূরত্ব রাখার দরকারই বা কী?’
গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ৫০০ নতুন বেডের ব্যবস্থা হয়েছে। কমানো হয়েছে বেডের মধ্যবর্তী দূরত্ব। সেই কারণে রাতারাতি বেড়েছে বেডের সংখ্যা।
নায়ার হাসপাতালে ৩৩৬ থেকে বেডের সংখ্যা বেড়ে হলো ৮০০। কেইএম হাসপাতালে সংখ্যাটা ২০০ থেকে হয়েছে ২২০। সেন্ট জর্জে ৪০০ থেকে ৬৯০।
মুম্বাইয়ের সরকারি হাসপাতালে অবস্থিত ২৫০টি ভেন্টিলেটরের প্রতিটিই এখন ব্যবহৃত। এতোটাই ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে সংক্রমণের চেহারা।
বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ২০০ ভেন্টিলেটর বেডের ব্যবস্থা করার জন্য।
ভারতের যেকোনো শহরের থেকে বেশি করোনা পজিটিভ রয়েছে মুম্বাইয়ে। এমাসের শেষে সংখ্যাটা ৫০ হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের করোনা সংক্রমণের ২১ শতাংশই মুম্বাইয়ের। দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানীর পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ।
৩.৭১ শতাংশ মৃত্যুহার মুম্বাইয়ে। এখনো পর্যন্ত ৫৫৬ জন মারা গেছে সেখানে। মহারাষ্ট্রে এখনো পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৯২১। অর্থাৎ রাজ্যের ৬০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই মুম্বাইয়ের সাথে জড়িয়ে।
সূত্র : এনডিটিভি