বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হয়নি। টানা দ্বিতীয়দিনের মতো দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে জনবহুল এই শহর।
শুক্রবার সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৩। যা ঢাকার বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলমান সাধারণ ছুটিতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার বাতাসের মান উন্নত হবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। তবে এ অবস্থায় শিশু, বয়স্ক ও যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের বাইরে বেশি সময় না থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। সংবেনশীল গোষ্ঠী বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং চীনের উহান যথাক্রমে ১৫৮ এবং ১৫৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্ষা মৌসুমে দূষণ কিছুটা কমে।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।