পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : নারী নেতৃত্ব দিয়ে স্বরূপকাঠির সোহাগদল ইউনিয়নের মধ্যে একটা পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন এরিমধ্য মোসাঃ রিনা সুলতানা। সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বরছাকাঠী, হাজীর পুল ও এন ডব্লিউ এলাকায় একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করেছে। অবশ্য দেশের করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত হলেও সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে কঠিন দুঃসময়ে। কঠিন ঝুঁকি নিয়ে সরকারি ঘর নির্মাণ করার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে লক ডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। তারপরও এলাকার মোঃ বেল্লাল হোসেনের হোসেনের সরকারি অনুদান পাওয়া ঘর নির্মাণ করার ঝুঁকি নেয়। ভোটারদের ভালবাসার সন্মানে লক ডাউনের মধ্যেও ঘর নির্মাণের যাবতীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে দারুণ বেগ পেতে হয়েছে। কাঠ ক্রয় থেকে শুরু করে কাঠ চেরাই সহ যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করা কঠিন হলেও নিজের করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে বেল্লাল হোসেন এর ঘরের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারি বাজেটের সাথে তাল মিলিয়ে ঘর নির্মাণ কঠিন ব্যাপার হলেও সুনামের সাথে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে শেষ সময় পর্যন্ত।সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। অথচ সাংবাদিক, চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসনের লোকজন করোনাকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। অনুরূপ ভাবে সোহাগদল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বেল্লাল হোসেন এর সরকারী ঘরের কাজ করে যাচ্ছে করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে জনপ্রিয় মহিলা মেম্বার রিনা সুলতানা । সরকারের বাজেট অনুযায়ী ঘর নির্মাণ কঠিন না হলেও করোনার দুঃসময়ে ব্যাবসায়ীরা এক ধরনের জিম্মি করে ঘর নির্মাণের যাবতীয় কাঁচা মাল সহ ইট, রট, বালুর দাম হুহু করে বাড়িয়ে দিয়েছে। কঠিন দুঃসময়ে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক ঘর নির্মাণ করা ভীষণ কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে শুধু মাত্র করোনার কারণে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সরকারি ঘর পাওয়া বরছাকাঠীর মোঃ বেল্লাল হোসেন এর সাথে। জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি ঘর পাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর ধন্যবাদ দিচ্ছি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল শীর্ষ নেতাদের। সর্বশেষ আমার এলাকার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আঃ রশিদ ভাইকে। এরপর ধন্যবাদ দিচ্ছি আমার ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ রিনা সুলতানা আপাকে। তিনি আরও বলেন, আমি ভালো মন্দ বুঝি না তবে একটা জিনিস বুঝি। কঠিন দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিনা সুলতানা আপায় ঘরের কাজ করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বেল্লাল হোসেন বলেন, সরকারি সিডিউল বুঝি না তবে অনুদানে আমার ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে হ্যা ভালো মন্দ, দোষ গুন সকলের মধ্যে কম বেশি আছে। আমার সাফ কথা ” ঘর নির্মাণ শেষ পর্যায়ে, তাই ধন্যবাদ চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বার রিনা সুলতানা আপাকে “।
তবে ভিন্ন কথা বললেন সোহাগদল ইউনিয়নের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাঃ রিনা সুলতানা। জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে আমি জনগণের সেবক। আমার ওয়ার্ডে বরসাকাঠীর মোঃ বেল্লাল হোসেন সরকারী ঘর পান। আর আমি নির্মাণ করার দায়িত্ব পালন করি। আমার চেয়ারম্যান আঃ রসিদ ভাইজান আমাকে কঠিন দায়িত্ব দেন। যদিও করোনার কঠিন দুঃসময়ে দায়িত্ব পালন করা সত্যি সত্যিই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। তারপরও করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত না হয়ে কঠিন ঝুঁকি নিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে দুঃখ হয় সমাজের কিছুকিছু লোকজন কঠিন দুঃসময়ে সমালোচনা করার পাশাপাশি কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আসলে আমি জনগণের সেবক তাই সেবা করা আমার কাজ। এদিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রশিদ জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে কাজ করলে আলোচনা সমালোচনা হবে। তবে রিনা সুলতানা করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অথচ আমরা সকলেই সমালোচনা করার কাজে কর্মে বেশি সময় দিচ্ছি কিন্তু। তবে ভিন্ন কথা বললেন উপজেলা পি আই ও অফিসার। তিনি জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি কাজের মান দেখার জন্য সরাসরি স্থানে গিয়েছি। পাশাপাশি নিয়মিত খোঁজ খবরও রাখতেছি। আসলে শুধু রিনা সুলতানা আপার জন্যই নয় আমাদের সকল কাজে কর্মে সঠিক তদারকি করা দরকার। অবশ্য ঘর নির্মাণ কাজের মান নিয়ে কোন অভিযোগ করেননি মোঃ বেল্লাল হোসেন ।
সর্বপরি বরছাকাঠীর মোঃ বেল্লাল হোসেন ঘর পেয়েই বেজায় খুশি। তার কোন অভিযোগ নেই বরং বেশ কিছু লোকজন অতি মাত্রায় আবেগি হয়ে সমালোচনার ঝড় তুলছে। তবে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
Related