শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা, সর্বোচ্চ ২২০০

এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা, সর্বোচ্চ ২২০০

গত বছরের মতো এই বছরও পবিত্র রমজানে বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরও সর্বনিম্ন ৭০ টাকাই ছিল। তবে সর্বোচ্চ ছিল এক হাজার ৯৮০ টাকা।

সোমবার (৪ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, খেজুর, গম, কিসমিস, পনির ও যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটার ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) আটা বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গমের ক্ষেত্রে (অর্ধ সা’) এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল সামর্থ্যবান মুসলিমের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। একইভাবে ফিতরার খাদ্য ঈদের নামাজের আগেই বণ্টন করাও ওয়াজিব। ঈদের নামাজের পর পর্যন্ত দেরি করা জায়েজ নয়। বরং ঈদের এক বা দুই দিন আগে আদায় করে দিলে কোনো অসুবিধা নেই।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৪ বা ২৫ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877