পরিবারসহ হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ইমরুল কায়েস। মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে ইমরুল কায়েসকে। যেহেতু তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তিনি।
প্রায় এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রবিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ইমরুল কায়েসের পিতা মো. বানি আমিন বিশ্বাস (৫৮)। রাতেই সপরিবারে বাবার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জাতীয় দলের এ ব্যাটসম্যান।
গতকাল সকালে মরদেহ মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। সকাল সাড়ে ১০টার সময় তার নিজ বাড়ির সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের তরফ থেকে আগেই জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই শুধু পরিবারের সদস্যরা জানাজায় অংশ নেন। পরে গ্রামের কবরস্থানে বানি আমিনের লাশ দাফন করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ গ্রামের বাড়ি থেকে মেহেরপুর শহরে যাওয়ার পথে শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান নছিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন ইমরুল কায়েসের পিতা বানি আমিন বিশ্বাস।
করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে প্রায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোগটা ছোঁয়াচে। এখনো এর কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। সারা বিশ্বই করোনা ভাইরাসের কাছে অসহায়! প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে। প্রয়োজনে বের হলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকাতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই ঢাকাতে থাকা কাউকে যেমন বাইরের জেলাগুলোতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না তেমনি অন্য জেলা থেকেও ঢাকাতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। ইমরুল কায়েস যেহেতু ঢাকাতে ছিলেন তাই বাবার মরদেহ নিয়ে মেহেরপুর গেলেও তাকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।