শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারি ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুরু পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ইরানের হুঁশিয়ারি : ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা হবে ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
এ কি হাল দুনিয়ার রাজধানীর!

এ কি হাল দুনিয়ার রাজধানীর!

এখানেও সূর্য ওঠে। আগের মতোই সোনালী রোদে ঝলমলিয়ে ওঠে এখনকার প্রকৃতি। তবুও দুনিয়ার রাজধানীখ্যাত নিউ ইয়র্কের জনজীবনের অন্ধকারটা যেন কাটছেই না। ৮৪ লাখ বাসিন্দার এই নগরীতে এক লাখেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এরমধ্যে বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের ঘরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দুধর্ষ এ ভাইরাসের সঙ্গে। অনেকেই আছেন হাসপাতালে। মৃত্যুবরণ করেছেন কয়েক হাজার। দিন যত যাচ্ছে ততোই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

হঠাৎ আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে প্রতিমুহুর্তে আতংকে এই নগরীর প্রতিটি মানুষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দী। আর তাতেই পুরোপুরি অচেনা হয়ে পড়েছে জগতের ব্যস্ততম এই নগর।
৫টি বোরো বা অঞ্চল নিয়ে গঠিত নিউ ইয়র্ক সিটির মূল অংশ ম্যানহাটন। চারদিকে নদী বেষ্টিত ৩৪ বর্গমাইল আয়তনের এই দ্বীপকে ঘিরেই মূলত নিউ ইয়র্কের বেশির ভাগ কর্মকান্ড। বাকি চারটি বোরো বা অঞ্চল হলো ম্যানহাটনের পূর্ব ও পূর্ব-দক্ষিণ দিকে কুইন্স, দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্ব দিকে ব্রুকলিন, উত্তরে ব্্েরাঙ্কস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস ব্রুকলিন বোরোতে। দ্বিতীয় সর্বাধিক মানুষের বসবাস কুইন্সে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যানহাটন বোরো জনসংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে। জনসংখ্যা যা-ই হোকনা কেন গুরুত্বের দিক দিয়ে কেবল নিউ ইয়র্ক বা যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সমগ্র দুনিয়াতেই ম্যানহটনের উচ্চতা অতুলনীয়। জাতিসংঘ সদর দফতর, বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কোয়ার, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, অ্যাম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং থেকে শুরু করে দুনিয়ার তাবত বড় বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এখানে। স্বাভাবিক কারণেই দিনরাত ২৪ ঘন্টা জেগে থাকা ম্যানহাটন লাখো মানুষের পদভারে মুখরিত থাকে বছরের ৩৬৫ দিন।
কিন্তু সেই ম্যানহাটনের এ কি চেহারা! স্বাভাবিক সময়ে সপ্তাহের পাঁচ-কর্মদিবসেই ম্যানহটনের প্রতিটি রাস্তা ছিল যানবাহনে ঠাসা। আর ফুটপাতগুলো সাতদিনই পূর্ণ থাকতো পথচারিদের বিরামহীন চলাচলে। কিন্তু আজ সেই ম্যানহাটনের সুপ্রশস্ত এভিনিউ এবং স্ট্রিটগুলো প্রায় ফাঁকা।  ফুটপাতগুলোও যেন অবসর নিয়েছে কিংবা ছুটিতে আছে। আর দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর ভিড় থাকে যে টাইম স্কোয়ারে সেখানকার দৃশ্যপট এখন সত্যিই খুব মন খারাপ করার মতো। একই অবস্থা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষন ওয়র্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ব্যাটারি পার্ক, ডাউনটাউন, ওয়েস্টসাইড, সাউথ স্ট্রিট, চায়না টাউন, ওয়েস্ট ভিলেজ, ওয়াল স্ট্রিট, চেলসি প্রভৃতি এলাকারও। বিখ্যাত ব্রডওয়ে থিয়েটার শো’র প্রতিটি হল, বিনোদনের সকল ক্লাব বন্ধ। খুলছে না বৃহৎ শপিং মল ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরগুলোও। ফিফথ এভেনিউর বড় বড় ফ্ল্যাগশিপ স্টোরগুলোরও দরজা আটকানো। খাঁ খাঁ করছেন এখানকার বড় বড় হোটেলগুলো। টানা একমাসেরও বেশি সময় ধরে মানুষের দেখা না পেয়ে বিখ্যাত সেন্ট্রাল পার্কের গাছগুলোও যেন বড় ক্লান্ত।
বাংলাদেশের চাঁদপুরের মানুষ মেসবাউল তালুকদার বাবলু ম্যানহাটনে টাইমস স্কোয়ারের খুব কাছেই বসবাস করেন বিগত প্রায় ৪০ বছর। এক সময় যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গে। মূলধারার একটি নামকরা টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকতা ছেড়ে শুরু করেন রেস্তোঁরা ব্যবসা। টাইমস স্কোয়ারের আশপাশেই তাঁর একাধিক রেস্তোঁরা। নবম এভিনিউ ও ৫১ স্ট্রিটের সংযোগ স্থলে বিখ্যাত  আফগান কাবাব হাউসের মালিকও তিনিই। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে মেসবাউল তালুকদার বললেন, ম্যানহাটনের এমন করুন চেহারা গত ৪০ বছরে কখনও দেখা দূরের কথা, কল্পনাও করতে পারিনি। যানবাহনশূন্য এভিনিউ আর পথচারিশূন্য ফুটপাতগুলোর দিকে তাকালে কান্না চলে আসে। তিনি বলেন, আফগান কাবাব হাউস থেকে মাত্র তিন ব্লক দূরে আমার এপার্টমেন্ট। সাধারণত একটু বেশি রাতেই বাসায় ফিরি। স্বাভাবিক সময়ে এই পথটুকু দিনেরাতে যেকোনো সময় অগণিত মানুষের ভিড় ঠেলেই যেতে হতো। কিন্তু এই করোনাকালে রাতের বেলায় এইটুকু পথ পাড়ি দিতে ভয়ে গা ছমছম করে উঠে। হঠাৎ কোনো অ্যাম্বুলেন্স কিংবা সেনাবাহিনীর গাড়ি ছাড়া আর কিছুরই দেখা মেলে না। এ যেন পুরোপুরিই অচেনা এক শহর।
ঘরবন্দী থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন কুইন্সের বাসিন্দা সাংবাদিক ও ইউটিউবার সাহেদ আলম। আর তাই মনের অবসাদ কাটাতে গাড়ি চালিয়ে সোজা চলে গেলেন ম্যানহাটনে। সেখান থেকে টেলিফোনে জানালেন খুবই মন খারাপ করা দৃশ্যের কথা। বললেন, স্বাভাবিক সময়ে এই শহরকে যারা নিয়মিত দেখেছেন বর্তমানের দশা দেখলে তাদের চোখে পানি চলে আসতে পারে। ম্যানহাটনের সুউচ্চ অট্ট্রালিকাগুলোর বাসিন্দারাও অতিজরুরী প্রয়োজন ছাড়া নিচে নামছেন না। সন্ধ্যা নামতেই এখানকার এভেনিউ এবং স্ট্রিটগুলোর ভূতুড়ে চেহারা হয়ে যায়। সবমিলিয়ে এ যেন সত্যিই এক অচেনা শহর। ঠিক কবে নাগাদ নিজের পুরোনো চেহারা ফিরে পাবে ম্যানহাটন, কিংবা আদৌ আর কোনোদিন সেই জৌলুস ফিরে পাবে কিনা কিংবদন্তীতূল্য এই নগরী সেই প্রশ্নের জবাব যেন এই মুহুর্তে কারোরই জানা নেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, সপ্তাহান্তে ইসরাইলে তেহরানের আক্রমণের প্রতিশোধের কথা ভেবে ইরানের রিভ্যোলিউশানারি গার্ডসের একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল ইসরাইলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা যদি ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রে আক্রমণ করে তা হলে ইরান ইসরাইলের ‘পারমানবিক স্থাপনাগুলিকে’ লক্ষ্য করে আঘাত হানবে। ইরানের ওই হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইল পাল্টা জবাব দেবার সংকল্প ব্যক্ত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ৭ অক্টোবর আক্রমণ চালানোর সাথে সাথে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার রাতে ইসরাইলের ওপর তেহরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ ছিল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার প্রতিশোধ। ওই হামলায় ইরানে রিভ্যোলিউশানারি গার্ড কোরের দু’জন জেনারেলসহ সাতজন সদস্য প্রাণ হারান। ইরানের আক্রমণের প্রতিশোধ কোথায় কিংবা কবে নেয়া হবে সে সম্পর্কে ইসরাইলি কর্মকর্তারা কিছু জানাননি। তবে এই গার্ড বাহিনীর পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান আহমাদ হাঘতালাব বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রের ্পর যেকোনো আক্রমণের পাল্টা জবাব দেবে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ হাঘতালাবকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘এই ইহুদিবাদী সরকার [ইসরাইল] যদি আমাদের পরমাণু কেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে। পাল্টা আক্রমণে উন্নত অস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হবে।’ ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরাইলের আছে।’ আর তার পর পরই ইরানের তরফ থেকে এই সতর্কবার্তা এলো। হাঘতালাব বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি আক্রমণের হুমকির কারণে তেহরানকে ‘তার ঘোষিত পারমাণবিক নীতি ও বিবেচনা থেকে সরে এসে তা নতুন করে ঠিক করতে হতে পারে।’ তিনি অবশ্য বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। এই ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি বরাবর বলে এসেছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা অস্বীকার করেছে। তারা অবশ্য তাদের জাত-শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের স্থাপনাগুলোর ওপর নাশকতামূলক আক্রমণ চালানোর জন্য এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে। ২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই বলেছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারত। কিন্তু তা করবে না। কারণ ইসলামে এ জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অন্যান্য কর্মকর্তা বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অব্যাহত সম্প্রসারণে মনে হয় যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্য আছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি খর্ব করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক তরফাভাবে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ইরান ২০১৫ সালের চুক্তিতে দেয়া শর্ত অনুযায়ী তার প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমশই সরে এসেছে। ওই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করা হয়েছে। হাঘতালাবের মতে, ইসরাইলের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে ইরান চিহ্নিত করেছে এবং ‘সকল লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য’ তাদের কাছে আছে। ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে তা সকলেরই জানা। কিন্তু ইসরাইল কখনো তা স্বীকার করেনি। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877