রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা : চিফ প্রসিকিউটর দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : খন্দকার মোশাররফ জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাজেট ২০২৫-২৬ : যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ‘ককটেল সদৃশ’ বস্তুর বিস্ফোরণ ছাত্রদল-শিবিরের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা জুলাই গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ভারতে ভয়াবহ দুর্যোগ: প্রাণ গেল ৩০ জনের বরিশালে জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৩টি হটলাইনে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায় না’

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০

স্বদেশ ডেস্ক:

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করলেও কাউকে পাওয়া যায় না। বুধবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায় না। রিং হতে থাকলেও কেউ রিসিভ করে না।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো হলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে সনাক্তের কোনো যথাযথ ব্যবস্থা নেই। বিমান বন্দরে টাকার বিনিময়ে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা। যে কারণে বিমানবন্দরে ইতালি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন তাদের রোগ শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার চার দিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের একজনের স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এ নিয়ে রীতিমত চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনা প্রদর্শন করছে। তাদের সমস্ত মনোযোগ ও ব্যস্ততা মুজিব বর্ষ পালন নিয়ে। দেশের সীমান্ত ও স্থল বন্দর অরক্ষিত, বিমান বন্দরগুলোতে স্ক্যানার মেশিন নেই, যা দু’একটি ছিল তাও আবার গতকাল নষ্ট হয়ে গেছে। মেগা প্রকল্পের নামে দেশে হরিলুট চললেও মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোনো কার্যকর প্রস্তুতিই নেই। ১৩টি হটলাইন আর কয়েকটি হাসপাতালে জোড়াতালির প্রস্তুতি চলছে। দেশের অধিকাংশ সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) নেই। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি বা উৎপাদনের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সেগুলো কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বরং বাড়িতে থেকে হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে। বাস্তবে এটা ভাঁওতাবাজীতে পরিণত হয়েছে। বিনা ভোটের মিডনাইট সরকারের এই ভয়ঙ্কর উদাসীনতার ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে দেশে এক মহাবিপর্যয় দেখা দিবে-তা হবে করুণতম ও মর্মস্পর্শী। এ ব্যাপারে সরকারের ব্যর্থতাকে জনগণ কখনো ক্ষমা করবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, খায়রুল খবির খোকন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ