‘আমরা তো ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বোলারদের খেলেছি। ইংল্যান্ডে ফাস্ট বোলারদের খেলে আমাদের অভ্যাস আছে। আমাদের আসলে এত চিন্তা করার কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের স্বাভাবিকভাবেই খেলতে পারব বলে আশা করি। আমরা সেরাটা দিতে পারলে যে কোনো কিছুই হতে পারে!’
টনটনে অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি নায়ক হলে আরেক জনকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। তিনি আর কেউ নন। লিটন দাস। ঠা-া মাথায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনি খুন করেছেন! সাকিব জানেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা ভালো না। তার পরও এটা বিশ্বকাপ। সিরিজ ও বড় টুর্নামেন্টে একটা চাপ কাজ করে।
সাকিব মনে করেন, এই চাপটা অস্ট্রেলিয়ার বেশি। তারা টপ ফেভারিট দল। বাংলাদেশের বরং সেই চাপ নেই। উইন্ডিজের আগে সাকিব ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। দলকে সহযোগিতা করতে পারলে ভালো লাগে। আগে তো নিচে ব্যাটিং করতাম। এখন তিনে খেলি। আমার কাছে মনে হয় এ জন্যই প্রতিনিয়ত ভালো রান করতে পারছি। আমি ইতিবাচক ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও এমন থাকতে চাই। সাকিব নবম সেঞ্চুরি করেছেন। এই টুর্নামেন্টে এখন তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুটি উইকেটও নিয়েছেন। লিটনের খুব প্রশংসা করেছেন তিনি। আশা করছেন, সামনেও লিটন এভাবে হাল ধরতে পারবেন। সাকিব আরও বলেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররাও অনেক জোরে বল করেছে। ১৪০ কিলোমিটারের নিচে কেউ নেই। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকে ভয়ের কিছু নেই।
সাকিব বলেন, ‘আমরা প্ল্যান ঠিক রেখে চলতে পারলে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের আমি জানি। আমাদের আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। আশা করি ফল খারাপ হবে না।’ বাংলাদেশ দল বেশি সময় পাচ্ছে না। আজ তারা অনুশীলনে নেমে যাবে। আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষা। সময় বেশি না পেলেও সাকিবের ফরম, লিটনের বাজিমাত ও তামিমের ছন্দে ফেরাটা জ্বলে ওঠার জন্য বাড়তি রসদ হিসেবে কাজে দেবে।