পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ঝাড়া পোছা দিয়ে বোকা বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চান্দু ফকিরের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, আরামকাঠীর আলী আহম্মেদের ছেলে মোঃ চান্দু ফকির (৪৫) এলাকায় বহু দিন ধরে গ্রাম্য ওজালি করে আসছিল। উপজেলার হত দরিদ্র পরিবারের লোকজন সরল মনে বিশ্বাস করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসতো ফকিরের কাছে । আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চান্দু ফকির সুযোগ বুঝে চিকিৎসার নাম করে ঝাড়ু ফিকির দিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে বস করতো রোগীদের । সুকৌশলে হত দরিদ্র মানুষের দুর্বলতা সুযোগ বুঝে ও রোগীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা করতো সময় সুযোগ বুঝে । সরল মনে হতভাগ্য রোগীরা চান্দু ফকিরের কথায় বিশ্বাস করে চিকিৎসা সেবা নিতো।
এদিকে ঠকবাজ ও প্রতারক চান্দু ফকির প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একের পরে এক ফন্দি ফিকির আাঁটেন। আর এভাবেই দুরন্তপনার মাধ্যমে সচেতন রোগীকে বস বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে । আর এজাতীয় অভিযোগ করেন পিরোজপুর সহ ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, জিয়ানগর, নাজিরপুর ও কাউখালির বহু লোকজনরা। তবে নেছারাবাদ উপজেলার বহু লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার মিডিয়াকে বলেন, চান্দু ফকির একজন পাকাপোক্ত প্রোতারক বটে। সারেংকাঠীর বহু মহিলারা গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আরামকাঠীর চান্দু ফকির একজন টাউট প্রকৃতির মানুষ। এদিকে আরামকাড়ীর বর্তমান মেম্বার লকিতুল্লাহ সহ এলাকার বেশীরভাগ লোকজন ফকিরের নামে ভান্ডামী করার অভিযোগে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি এলাকায় বহু চিটিংবাজ কাজকর্মের জন্য পৌর মেয়র সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এক ানাম্বার চিটিংবাজ হিসাবে চিনেন।
এ ব্যাপারে কাউখালীর রজ্জব আলীর স্ত্রী নাজমুল নাহার বলেন, চান্দু, আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে অবৈধ ভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফকিরের লেবাচে আমার পরিবারের ক্ষতি সাধন করে। অপরদিকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন জেলা প্রতিনিধির কাছে জিয়া নগরের তহমিনা ও তার পরিবার। অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার বহু লোকজনের কাছ থেকে মিডিয়ার কাছে । তবে ভিন্ন কথা বলেন সোহাগদলের হত দরিদ্র পরিবারের কুদ্দুস। তিনি কান্নারত ভাষায় বলেন, চান্দু ফকির একজন পাকাপোক্ত টাউট। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আমার স্ত্রীকে বদ জিন দিয়ে অপচিকিৎসা করান।
এদিকে আরামকাঠীর বহু লোকজন বলেন, চান্দু ফকির একজন পাকাপোক্ত ধান্দাবাজ ফকির । এলাকায় মাসে মিনিমাম দশ বার করে বসেন। গভীর রাতে আসর বসান স্বরূপকাঠিতে । অন্ধকার রাত্রে সাক্ষাৎ বেশী হয়। অপরদিকে কৃসনোকাঠী আঃ হাইর বাসায়ও বসেন আমাবর্ষার অন্ধকার রাতে। এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠি উপজেলার সুশীল সমাজের লোকজন জেলার মিডিয়াকে বলেন, প্রতারক ও টাউট খ্যাত চান্দু ফকির কিভাবে আমাদের এলাকায় ছলচাতুরী করে প্রতারণা করে। প্রশাসন সহ মিডিয়ার লোকজন কি আদৌ নজর রাখেন না। নাকি চান্দু ফকিরের জাদুতে বন্দী। তবে ভিন্ন কথা বলেন সোহাগদলের মৃনাল সাহা। তিনি বলেন, প্রশাসন ইচ্ছে করলেই জ্বীন পরীর ফকিরী ব্যাবসার খল নায়ক চান্দু ফকিরকে গ্রেফতার করতে পারেন। এদিকে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা গতকাল সারেংকাঠী এলাকায় যান চান্দু ফকিরের মুনিনাগ বাসায়। এলাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলেন বহু লোকজনের সাথে। তাদের দাবী, চান্দু ফকির একজন পাকাপোক্ত টাউট খ্যাত ফকির। নিজ এলাকায় তাড়া খেয়ে আমাদের এলাকায় বাড়ি করেন। বর্তমানে এখানেও থাকেন না। তবে চান্দু ফকিরের সাথে কথা হয় মোবাইলে জেলার মিডিয়ার লোকজনদের সাথে। তিনি অকপটে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে চান্দু ফকির মিডিয়ার বহু প্রশ্নের জবাব এডিয়ে যান কৌশলে। তবে এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলার সচেতন লোকজন মিডিয়াকে বলেন, আমরা জেলার প্রতারক বিশ্ব টাউট জ্বিন ফকরীর ব্যাবসা চিরতরে বন্ধ হোক। প্রশাসনের অগ্রনী ভূমিকা যথাযথ পালন হোক। আর এ প্রত্যাশা সমগ্র উপজেলা সহ জেলাবাসীর।