ড. মুহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে আসে, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিংবা বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের কি কিছু করণীয় আছে? ইসরাইল রাষ্ট্রের দখলদারিত্বের শুরু থেকেই বাংলাদেশী জনগণ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়ে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। কিন্তু বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সেই আগের অনুভূতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এ অবস্থার কারণ কী দখলদার ইসরাইল রাষ্ট্রের ব্যাপারে আমাদের নির্লিপ্ততা? নাকি ইসরাইলের হাতে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্য ছেড়ে দেয়ার মানসিকতা? তা নিয়ে আজ আমাদের ভেবে দেখা দরকার।
আমাদের প্রথম দরকার ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা। তাদের নৈতিক সমর্থন, সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদদের আসন্ন ইসরাইলি নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকার পরামর্শ দেবো। তাদের উচিত হবে তথাকথিত ‘শতাব্দীর চুক্তি’ প্রতিরোধে একটি অভ্যন্তরীণ ফিলিস্তিনি কৌশল প্রণয়ন করা। যে দিকটি সবার স্মরণ রাখা উচিত, আজকের হতাশাজনক অবস্থার মূলে রয়েছে, ফিলিস্তিনি অঞ্চল বিশেষ করে মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের পবিত্র স্থানগুলোতে ইসরাইলি দখলদারিত্ব।
যেকোনো রাজনীতিবিদের জন্য এটা বোঝা কঠিন বিষয় নয়, মুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য দখলদার শক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করা রাজনৈতিক বোকামি ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু তাদের ওপর অব্যাহতভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তাদের নীতির পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দল বা শক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণা খুব স্বচ্ছ নয়।
আমরা দেখেছি, অতীতে ফিলিস্তিনি সমস্যা বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যেমন আরব জাতীয়তাবাদ, বাথ পার্টির মাধ্যমে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সে ধরনের রাজনৈতিক মতাদর্শিক, রাজনৈতিক কৌশল কার্যকর ফল আনতে পারেনি। এর বাইরে চেষ্টা করা হয়েছিল রাজনৈতিক ও শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সমাধান করার। কিন্তু তা এখন অকার্যকর হয়েছে। এরপর গণ-অভ্যুত্থান বা ইনতিফাদার কৌশল গ্রহণ করা হয়। নিরস্ত্র রাজনৈতিক আন্দোলন কিংবা শান্তিচুক্তির পরও ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা, অবিচার ও অন্যায় চলছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা বলে নতুন ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়েছে, যা অনিবার্যভাবে ব্যর্থ হতে চলেছে। ১৯৪৮ সালের বিপর্যয়ের পর থেকে ফিলিস্তিন পরিস্থিতির ধাপে ধাপে অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনি কিংবা আরব রাজনীতিবিদরা ছাড় দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার নীতি গ্রহণ করেছে। বাস্তবতা হলো, আরব দেশগুলোর এসব পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত ভীরু মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। বিবৃতিনির্ভর সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই হয়নি।
১৯৯০-১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের পর প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে ইসরাইলের সাথে সমঝোতার জন্য অসলো চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ইসরাইলের সাথে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল। আরব দেশগুলো বিশেষ করে জর্দান ও মিসর ইসরাইলের সাথে পরোক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে তা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এখন আরব দেশগুলো আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের ঘাটতি রয়েছে। আরব বসন্তের পর দেশের ভেতরে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের ভয় কাজ করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এসব দেশের নির্ভরতা বেড়েছে। এর ফলে অনেক আরব দেশের পক্ষে ট্রাম্পের ডিল অব সেঞ্চুরির প্রকাশ্য বিরোধিতা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
কিন্তু ফিলিস্তিনিদের মতো বাংলাদেশের মানুষ এটাকে নীতিগত বিষয় হিসেবে দেখে থাকে। বাংলাদেশের মানুষের অন্যায় শাসন এবং শোষণের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। স্বাধীনতা অর্জনের মর্ম ও তার মূল্যও আমাদের জানা আছে। তাই বাংলাদেশী মানুষ নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নীতি গ্রহণ করে।
ফিলিস্তিন ইস্যু যে একটি নীতিগত ইস্যু তা আমরা সৌদি বাদশাহ ফয়সাল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গলের সংলাপের একটি উদাহরণ থেকে বুঝে নিতে পারি।
দ্য গল দম্ভভরে বাদশাহ ফয়সালকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘লোকেরা বলে, হে মহান বাদশাহ! আপনি ইসরাইলকে সমুদ্রের মধ্যে ফেলে দিতে চান! ইসরাইল তো বাস্তবে পরিণত হয়েছে এবং কেউ আপনার কথা মেনে নেবে না!’
বাদশাহ ফয়সাল দ্য গলকে জবাব দিলেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট! আমি আপনার এ কথায় অবাক হয়েছি। হিটলার যখন প্যারিস দখল করল এবং তার দখল বাস্তবে পরিণত হয়েছিল এবং পুরো ফ্রান্স আত্মসমর্পণ করেছিল তখন আপনি ফ্রান্স ত্যাগ করে ইংরেজ সেনাবাহিনীর সাথে চলে গিয়েছিলেন…। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে সাফল্য অর্জন না করা অবধি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। আপনি প্রচেষ্টা ছেড়ে দেননি এবং আপনার লোকরাও ছাড়েনি। আর এই প্রচেষ্টার ফলে আপনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি এখন অবাক হচ্ছি, আপনি আমাকে বর্তমান বাস্তবতার কথা বলে সন্তুষ্ট থাকতে বলছেন! আর দুর্ভাগ্যজনক, মাননীয় প্রেসিডেন্ট! দুর্বলরা শক্তিশালীদের দ্বারা যদি দখল হয়ে থাকে এবং জেনারেল দ্য গলের স্বর্ণ নীতিমালায় তা বাস্তব রূপ নেয়, তাহলে তো দখলদারদের দখলটাও বৈধ হয়ে যায়!’
জেনারেল দ্য গল বাদশাহ ফয়সালের উপস্থিত বক্তব্যের যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়ে নিজের সুর পাল্টে বললেন, ‘মহান বাদশাহ, ইহুদিরা বলে যে ফিলিস্তিন তাদের প্রকৃত দেশ এবং তাদের পরদাদা ইসরাইল সেখানকারই সন্তান।’
বাদশাহ ফয়সাল জবাব দিলেন, ‘হে মহান প্রেসিডেন্ট! আমি আপনার প্রশংসা করি, কারণ আপনি নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী এবং আপনি নিঃসন্দেহে বাইবেল পড়েছেন। আপনি কি পড়েননি যে ইহুদিরা মিসর থেকে এসেছিল? দখলদার হিসেবে জয়লাভ করেছিল, ফিলিস্তিনিদের শহর পুড়িয়েছিল এবং পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের হত্যা করেছিল, তাহলে আপনি কিভাবে বলবেন যে ফিলিস্তিন তাদের দেশ এবং এটি আরব কেনানীয়দের? বরং ইহুদিরা ঔপনিবেশিক শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল। আর আপনি চান সেই উপনিবেশবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে, যা ইসরাইল চার হাজার বছর আগে করেছিল? ফ্রান্স মাত্র তিন হাজার বছর আগে ছিল রোমান উপনিবেশ। বিশ্বের মানচিত্র কি ইহুদিদের পক্ষে বৈধ এবং রোমের পক্ষে নয়? আমরা আরবরা ফ্রান্সের দক্ষিণে ২০০ বছর কাটিয়েছি, যখন ইহুদিরা কেবল সত্তর বছর ফিলিস্তিনে অবস্থান করেছিল, তারপর তারা বিতাড়িত হয়েছিল!’
দ্য গল বললেন, ‘কিন্তু তারা বলে যে তাদের পিতারা এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন!’ বাদশাহ ফয়সাল বললেন, ‘আজব! আপনার প্যারিসে এখন দেড় শতাধিক দূতাবাস রয়েছে এবং বেশির ভাগ রাষ্ট্রদূতের সন্তান প্যারিসে জন্মগ্রহণ করে। যদি এই শিশুরা তাদের দেশে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে যায় এবং তারা প্যারিসে জন্মের সূত্রে এখানে দখল নেয়ার অধিকারের দাবি জানায়! আমি জানি না তখন প্যারিস কার জন্য হবে!’
দ্য গল কিছুক্ষণ চুপ হয়ে রইলেন এবং ঘণ্টায় আঘাত করে পম্পিডুকে ডেকে পাঠালেন, যিনি তখন বাইরে রাজকুমার সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ এবং তৎকালীন সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: রাশাদ মাহমুদ ফেরাউনের সাথে বসেছিলেন। দ্য গল এরপর বললেন, ‘ফিলিস্তিনের বিষয়টি এখন বুঝতে পারলাম, ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি করা বন্ধ করো।’ এ সময় ইসরাইল আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকান নয়, ফরাসি অস্ত্র ব্যবহার করছিল।
আমরা মনে করি, তথাকথিত শতাব্দীর চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করা সবার কর্তব্য। ফিলিস্তিনের সব পক্ষ এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। একজন ফিলিস্তিনি কূটনীতিকের কাছে ট্রাম্পের এই শান্তি পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, ‘পুরো ফিলিস্তিন এখন সঙ্ঘবদ্ধ। আমাদের সব রাজনৈতিক দল আছে, ফাতাহ, হামাস, আল-জিহাদ, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন, ফিলিস্তিন ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন, আসসাইকা, প্যালেস্টিনিয়ান পিপলস পার্টি, প্যালেস্টিনিয়ান কমিউনিস্ট পার্টিসহ সাধারণ জনগণ এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, যা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। এমনকি ফিলিস্তিন সংসদে সবাই এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। এই পরিকল্পনা কোনো সমঝোতার পরিকল্পনা নয়। এতে শুধু ইসরাইলের স্বার্থ বিবেচনা করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনা কার্যকর করার অর্থ ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব ন্যায্য ভূমির মাত্র ১৫ শতাংশ ধরিয়ে দেয়া। সব নৌপথ, ফসলি জমি, রাস্তঘাট, শহর সব কিছু তাদের দখলে নিয়ে আমাদের পরনির্ভর করে রাখা। এই পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে একটি জাতিবিদ্বেষ নীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা ন্যায়সঙ্গত, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তিতে বিশ্বাসী। বাস্তবতা হচ্ছে ইসরাইল নয়, ‘শান্তির জন্য’ ফিলিস্তিনিরাই অনেক চেষ্টা করেছে এবং ছাড় দিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রূপকার ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের অনুমোদিত শান্তিচুক্তি ‘অসলো অ্যাকর্ডস’। যেখানে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের মধ্যে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের মাত্র ২২ শতাংশ অংশ নিয়ে হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। অসলো চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, যা দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল। এর পরিবর্তে ইয়াসির আরাফাত শুধু চেয়েছিলেন পবিত্র ভূমি জেরুসালেম। এ নিয়ে ইসরাইলি নেতাদের সাথে অন্তহীন বৈঠক করার পরও তারা রাজি হননি। ২০০২ সালে আরব শান্তি উদ্যোগে ৫৭টি আরব ও ইসলামিক দেশ সমর্থন জানিয়েছিল। দুঃখজনক হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শান্তি পরিকল্পনা ফিলিস্তিনকে এই ২২ শতাংশ অংশের নিশ্চয়তাও দেয়া হয়নি। বাইতুল মুকাদ্দাস বা জেরুসালেমও কেড়ে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
শতাব্দীর চুক্তিটি নিশ্চিত করছে যে, জেরুসালেম দখলদার শক্তির একক রাজধানী। এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের অধিকারবঞ্চিত করা হয়েছে। এটি দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ইহুদি বসতিগুলোকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের জন্য এমন এক রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে, যার থাকবে না কোনো নিরাপত্তা বাহিনী। সীমানা এবং পারাপারের ওপরও ইসরাইলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং সেই সাথে ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলোরও।
ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি মেনে নেয়াটা স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের জমি বিক্রি করে দেয়ার সমান। আর তা হতে দিলে এটা হবে একটি ঐতিহাসিক ভুল। আর জোরপূর্বক এই ভূমি কেড়ে নিলে তা এই চুক্তি মেনে নেয়ার চেয়ে অন্ততপক্ষে উত্তম। আমরা যদি আজ আন্দোলন বন্ধ করে দিয়ে সমর্পণ করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাদের অধিকার আদায়ের দাবি করতে পারবে না। কারণ তাদের পূর্বপুরুষরা (আমরা) এই অধিকার বহু আগেই ছেড়ে দিয়ে এসেছি এবং তাদের এই পরাধীনতার জন্য আমরাই দায়ী হবো।
সারা বিশ্বের মুসলমানের মতো বাংলাদেশের জনগণ মনে করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমির ওপর আমাদের নীতিগত, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অধিকার এবং দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সবার উচিত সম্মিলিত দায়িত্ববোধ থেকে পদক্ষেপ নেয়া। আজ যদি আমরা নিজেদের দুর্বলতার কারণে হাল ছেড়ে দেই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাত থেকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূমির অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। যা আমাদের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্বের অবহেলা।
লেখক : মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ