বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা র‌্যাবকে অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’ সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: এনসিপি স্ত্রী-মেয়েসহ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই ‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

ডিআইজি মিজান অলরেডি সাসপেন্ড, আইনি প্রক্রিয়া চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯

পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এখন অন্যান্য আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ডিআইজি মিজানকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডিআইজি মিজান অলরেডি সাসপেন্ড হয়েছেন, অলরেডি ওএসডি হয়ে পড়ে রয়েছেন এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আইন অনুযায়ী তার শাস্তির বিধান হচ্ছে।’

এ ছাড়াও কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ডিআইজি মিজানুর রহমানের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি খুঁজে দেখা হবে অর্থের উৎস।

পুলিশের এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধানকালে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা বলেন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান। এমনকি একটি অডিও রেকর্ডসহ খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ প্রদানের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন। আর এতে নিজেই বিপাকে পড়েছেন তিনি।

ডিআইজি মিজান দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপের দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন তিনি নিজে, অন্যজন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তকালে ঘুষ বাবদ ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন এনামুল বাছির।

ডিআইজি মিজানের দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ মে পর্যন্ত দুই দফায় (প্রথমে ২৫ লাখ, পরে ১৫ লাখ) ঘুষের এই টাকা লেনদেন হয়েছে রমনা পার্ক এবং পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর কাপড়ের দোকানে। তিনি বলেছেন, দুদকের ওই পরিচালক ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এর মধ্যে অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা ছাড়াও তিনি তার সন্তানের স্কুলে আসা-যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেট কারও চেয়েছেন।

দুদকের ওই পরিচালক ঘুষের টাকা ব্যাংকে বেনামি অ্যাকাউন্টে রাখার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ