সোমবার মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর খবর প্রকাশ হওয়ার পরই দেশটির জনগণের প্রতি সববেদনা জানিয়ে টুইট করেছে তুরস্কের কর্মকর্তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের জনসংযোগ পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন মিসরের জগণন ও মুসলিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের সামনে রক্তাক্ত এক অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি আদলত কক্ষে প্রাণ হারিয়েছেন। তার রুহের মাকফেরাত কামনা করি।’
তুরস্কের আইনমন্ত্রী আব্দুলহামিদ গুল এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমার ভাই, আপনি মুক্ত! আপনি শান্তিতে থাকুন! আল্লাহ আপনাকে পরকালে উত্তম মর্যাদা দান করুক।’
মুরসির মুত্যৃতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পীকার মুস্তফা সেন্টোপ। তিনি বলেন, সাজানো কিছু অভিযোগের বিচার করতে মুরসিকে আদালত কক্ষে আনা হয়েছিল।
সেন্টোপ তার মাইক্রোব্লগিং সাইডে লিখেন, ‘মিসরীয় জনগণ, ইসলামিক বিশ্ব এবং সমস্ত নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহানুভূতি। আমি বিশ্বাস করি যে তার সংগ্রাম ও জীবন তার অনুসারীদের পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।’
তুর্কি ভাষায় লেখা ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিচার শেষ হওয়ার আগেই মুরসি ও তার মিত্ররা বিজয়ী হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন তার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা। মুরসি একজন মহান নেতা যিনি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস করেছেন। মুরসিকে কারাগারে রাখা হয়েছিল, কিন্তু যারা তাকে কারাগারে রেখেছিল তাদের চেয়েও তিনি এখন বেশি মুক্ত।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সুয়েলু বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের অনুসন্ধানের সংগ্রামের জন্য এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিপীড়িত নির্যাতনের সংগ্রাম করতে গিয়ে আজ (১৮-০৬-২০১৯) আরো একজন শহীদ হয়েছেন। অনেকেই এ ধরণের সংগ্রাম করেছেন, তারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছেন, সামরিক শাসক তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ছিল, কিন্তু তার স্মৃতি আমাদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। মুসলিম উম্মার পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান ভুলে যাবে না কেউ, শান্তিতে থাকুন মুরসি।