আদান ইসলাম: মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিনদিনব্যাপী নিউইয়র্ক বাংলা বই মেলা ও বাংলাদেশ উৎসব’২০১৯’র তৃতীয় দিনটি যেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলা ভাষাভাষীদের মিলন মেলায় পরিণত করার কাজটি প্রতিবছর এই মুক্তধারা বইমেলা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইট্স এ পিএস ৬৯ স্কুলে শুরু হয়েছে বাংলা বইমেলা। বইমেলাকে ঘিরে বরাবরের মতো প্রতিদিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ মেলাটিকে আনন্দমেলায় পরিণত করেছে। সেইসঙ্গে বাইরে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে খাবারের দোকান ও বসে আড্ডা দেয়ার সুব্যবস্থা নিউইয়র্ক এ বসবাসরত বাঙালীদের মেলবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
অটোগ্রাফ শিকারীদের মূল আকর্ষণ হলো বাংলাদেশ থেকে আসা বিখ্যাত লেখকবৃন্দ। আনিসুল হকের মতো প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি স্মৃতি ভদ্রের মতো নবীন লেখক লেখিকাদের বইও নজরে এসেছে অনেকের। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলের মনোরঞ্জনের জন্য এই বইমেলাটি সেজেছে বাহারি সাজে। মাতৃভাষা যেনো আগামী প্রজন্মের মুখ থেকে হারিয়ে না যায় সেজন্য অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বাংলা বই। প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এ বইমেলাটি যেনো বাংলা ভাষার প্রতি বাঙালীর ভালোবাসারই এক বহি:প্রকাশ।
এবারের বই মেলায় আয়োজক কমিটি একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করে। সুদূর বাংলাদেশ থেকে আগত প্রকাশণী সংস্থার স্টলগুলো জরিপ করে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ পুরস্কার বাংলা একাডেমী’র মহা পরিচালক হাবিবুল্লাহ’র মাধ্যমে মনোনীত প্রকাশনী সংস্থাকে প্রদান করা হয়। কয়েকটি প্রকাশনী সংস্থার পক্ষ থেকে দ্বি-মত পোষণ করা হয় যে, নিউইয়র্ক বইমেলা শুরু থেকে যে প্রকাশনী সংস্থাগুলো অংশগ্রহন করে আসছে তাদেরকে মঞ্চে না ডেকে একরকম অসম্মান করা হয়েছে বলে এক প্রকাশণী সংস্থার মহিলা কর্ণধার ক্রোধে ফেটে পড়ে-মঞ্চে এসে এর প্রতিবাদ জানান।
সর্বাঙ্গীন সুন্দর এই বইমেলায় অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক প্রকাশনী সংস্থার অংশগ্রহন জানিয়ে দেয় যে, নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় বাংলা ভাষা ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে বাংলা ভাষা সারা বিশ্বে এক অনন্য হয়ে ওঠার অপেক্ষায়……………।