সৌদি আরবে ১৩ বছর বয়সে আটক মুর্তাজা কুরেইরিসের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করছে দেশটির সরকার। ২০২২ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অন্দর মহলে মুর্তাজা কুরেইরিসের মৃত্যুদণ্ড বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে মুর্তাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে। এরপরই তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষিত হয়।
তবে রয়টার্সকে ওই সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ‘তার (মুর্তাজা) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে না।’
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে চাপের মুখে আছে দেশটির প্রশাসন। এরই মধ্যে মুর্তাজার মৃত্যুদণ্ডের বিষয় সামনে আসার পরই বাদশা সালমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে অনেকেই।
বুধবার অস্ট্রিয়া সরকার জানায়, মুর্তাজার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে তারা ভিয়েনাতে সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত ধর্মীয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
চলতি বছর সুন্নি শাসনের দেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ৩৭ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের ছিলেন এবং তারা ন্যায় বিচার পাননি। তাদের মধ্যে তিনজনের অপরাধ খুবই নগণ্য ছিলো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কারাগারে মুর্তাজাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয়েছে। তবে সৌদি প্রশাসন বরাবরই এসব অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের কারাগারে কোনো রাজনৈতিক বন্দী নেই। তাদের দাবি, মুর্তাজা পুলিশ ও একটি ফার্মাসিকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৪ সালে জার্মান রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা চালানোরও চেষ্টা করে সে।