বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তেজনা। দুদেশের ম্যাচের আবেদন যে কত বেশি সেটি একটি তথ্য দিলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। এবারের বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধী ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে চেয়েছিলেন ৭ লাখ মানুষ। সৌভাগ্যবান ২৫ হাজার মানুষ পেয়েছেন সোনার হরিণ হয়ে ওঠা টিকিট।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড টার্ফোডে আজ ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার প্রস্তুতিও নিয়েছে আয়োজকরা।
কোহলি-আমিররা মাঠে নামার আগেই ম্যাচের বারুদে গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুই প্রতিবেশী দেশের লড়াই হলে ক্রিকেট বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের উত্তাপ বইছে বাংলাদেশেও। এক সময় ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিয়মিত ভালো ফল ছিল না বাংলাদেশের। সেই সময় প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট মন ভরে উপভোগ করতেন দর্শকরা।
এখন বাংলাদেশ বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখে। পরাশক্তি দলে পরিণত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক ভাবেই নিজ দেশের সমর্থন সবার আগে। তবুও ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের উত্তেজনায় ভাটা পড়েনি।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান জানান, ঐতিহ্যগত ভাবে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মানেই বারুতে ম্যাচ। উত্তেজনায় ঠাসা। দুদলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে ক্রিকেট বিশ্ব। সারা পৃথিবীতেই এ ম্যাচের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
দ্বাদশ বিশ্বকাপে ভারত দলকে অনেক এগিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণেও কোহলি দলকে বেশি মার্ক দিচ্ছেন রকিবুল। তার মতে, বিশ্বকাপে ফেভারিটের মতোই খেলতে ভারত। পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা নেই। ব্যাটিং কিংবা বোলিং সব দিকেই পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ভারতীয়রা।
পাকিস্তানের বোলিং ধারালো হলেও তাদের ব্যাটসম্যানরা রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভারতকে আটকে রাখতে পারবে না পাকিস্তান দল।
বিশ্বকাপে এখনো ভারতের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তানিরা। এ পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে প্রত্যেকটিতে জিতেছে ভারতীয়রা। চলমান বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মহারণে ইতিহাস বদলাবে নাকি জয়ের সংখ্যা বাড়বে ভারতের? ম্যাচের ফল শেষেই মিলবে উত্তর।