মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়ম,খাদ্য কর্মকর্তার কারাদণ্ড

আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়ম,খাদ্য কর্মকর্তার কারাদণ্ড

স্বদেশ ডেস্ক:

বরগুনার আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে ইউএনও মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ক্রয়কৃত ১শ’৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এ অনিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ধান সরবরাহ কারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারীভাবে এ বছর ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ২ হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য বিভাগের লোকজন ওই ধান কৃষকের নিকট থেকে না কিনে এক শ্রেণির দালালের মাধ্যমে নিম্নমানের ধান ক্রয় করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এখবর পেয়ে টিএন্ডটি সড়কে অবস্থিত খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অবৈধভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌস-এর নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান। ফেরদৌস আমতলীর উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫ জন কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকুলে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টার প্রাইজের মালিক সুনিল সমদ্দার এর আড়ৎ থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাক যোগে আমতলী এনে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করে।

এ সংবাদ পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে সরবরাহ করা ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এবং এঘটনার সাথে জড়িত থাকর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ঊর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, জব্দ করা ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, কৃষকের নিকট থেকে ধান না কিনে খাদ্য বিভাগের লোকজন দালালের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করে খাদ্য গুমামে মজুদ করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জনকে ১০ দিনে কারাদণ্ড ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। তিনি আরো বলেন, জব্দকৃত ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এবং এ ধান পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877