গত কয়েকবছর ধরেই রক্ষণশীল সৌদির সংস্কৃতিতে বেশকিছু পরিবর্তন দেখেছে বিশ্ব। নিজেদের চেনা খোলস থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে দেশটি। এবার ‘হালাল নাইটক্লাব’ চালুর ঘোষণার পর থেকে সরগরম দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
টুইটারে অনেকে লিখেছেন, সৌদির এমন কর্মকাণ্ড দেশটির ইসলামিক চিন্তাধারা ও ঐতিহ্যের পরিপন্থী। আবার কেউ লিখেছেন, হালাল নাইটক্লাবে আসলে কি কি করা যাবে, এটা হাস্যকর। এছাড়া অনেক সামাজিক ব্যবহারকারী হালাল নাইটক্লাবের ব্যঙ্গ করে অনেক ভিডিও ও ছবি শেয়ার করেছেন। কেউ কড়া সমালোচনা করে লিখেছেন, এটা ইসলামের সংস্কার নয়, এটা অবক্ষয়। ইসলামের ক্ষতি করে এমন কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নিতে পারিনা। তবে নাগরিকদের সমালোচনা ও অসন্তুষ্টি থাকলেও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
এর আগে, নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া, সিনেমা হল নির্মাণ, মাঠে বসে নারীদের খেলা দেখার অনুমতিসহ অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এনেছে সৌদি। এগুলো নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এরপর দুবাই ও বৈরুতের বিখ্যাত ব্র্যান্ড নাইটক্লাব হোয়াইটের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায় এমন ঘোষণার পর নতুন করে সমালোচনার মুখোমুখি হলো দেশটি।
জানা যায়, বিলাসবহুল এই নাইটক্লাবে ক্যাফে এবং লাউঞ্জ থাকবে। এতে ওয়াটারফ্রন্ট থাকবে, এর সাথে থাকবে বিশ্বের খ্যাতনামা মিউজিক গ্রুপের পরিবেশনা। ইলেক্ট্রনিক ডান্স মিউজিক, কমার্সিয়াল মিউজিক, আরএনবি এবং হিপহপ মিউজিক উপভোগ করা যাবে এখানে।
এই হালাল নাইটক্লাবের লাউঞ্জের একটি অংশে থাকবে ড্যান্স ফ্লোর। নারী পুরুষ সবার জন্যে ড্যান্স এটা উন্মুক্ত থাকবে। হোয়াইটের সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই এখানে পাওয়া যাবে। তবে এই নাইটক্লাবে মদ পাওয়া যাবে না। কারণ সৌদিতে মদ কেনাবেচা অবৈধ। কেউ যদি মদ কেনাবেচা করে তবে তাকে শাস্তি পেতে হয়।