গত ২৬ এপ্রিল থেকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। চিকিৎসক বলেছেন, তিনি এখন অনেকটা সুস্থ। হাসপাতাল থেকে আজই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেও বাসায় ফেরার সুযোগ নেই এই অভিনেতার। আজ শনিবার তাকে ভর্তি করা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল বলেন, ‘বাবা এখন অনেকটা সুস্থ। আজ তাকে আজগর আলী হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে। ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য বাবাকে ভর্তি করানো হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।’
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন এটিএম শামসুজ্জামান। গত ২৬ এপ্রিল রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে বরেণ্য এই অভিনেতাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে। পরদিন তার ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৩০ এপ্রিল তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ১৩ মে এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকার চেক।
উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবন শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ ছবির জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন।
কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্র পর্দায় পা রাখেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ছবির পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটকে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।