শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান চায় চীন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের দলে যাদের রাখলেন ওয়াকার দীর্ঘ বিরতি শেষে বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
সৌম্যর হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে নায়ক মালিক

সৌম্যর হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে নায়ক মালিক

স্পোর্টস ডেস্ক:

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নিলো রাজশাহী রয়্যালস। শনিার টুর্নামেন্টের ২৩তম ম্যাচে রাজশাহী ১৫ রানে হারায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতলো রাজশাহী।

প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ৩৮ বলে ৬১ রান করেন। জবাবে সৌম্য সরকারের ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৮ রানে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করতে পারে কুমিল্লা। এর আগে চট্টগ্রামেও কুমিল্লাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলো রাজশাহী।

ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং-এর সিদ্বান্ত নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগান দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লে’তে ৫৬ রান যোগ করেন তারা। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিচ্ছিন্ন হন তারা। কুমিল্লার স্পিনার সানজামুলের বলে আউট হন হওয়ার আগে ২টি চার ও ১টি ছক্কা ১৯ বলে ২৪ রান করেন লিটন।

লিটন ফিরলেও নিজের ইনিংস বড় করার চেষ্টায় ছিলেন মারমুখী মেজাজে থাকা আফিফ; কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৩ রানে কুমিল্লার মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকারের বলে আউট হন তিনি। তার ৩০ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

আফিফের বিদায়ে উইকেটে গিয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানেই থামেন ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। তার আউটের পর ক্রিজে পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সঙ্গী হন অধিনায়ক ওয়েষ্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। তখন ইনিংসের ৭ ওভার বাকী ছিলো। বাকী ৪২ বলে ৮৪ রান যোগ করেন মালিক ও রাসেল। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন মালিক। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬১ রান করেন মালিক। আর ৪টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন রাসেল। কুমিল্লার মুজিব-সানজামুল ও সৌম্য ১টি করে উইকেট নেন।

জবাবে দেখেশুনেই শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান জিল। ৪ ওভারে ২৫ রান করেন তারা। পঞ্চম ওভারে রবিকে থামান রাজশাহীর পেসার ফরহাদ রেজা। ১৫ বলে ১২ রান করেন রবি। অধিনায়ক হিসেবে এ ম্যাচে খেলতে নামা ইনফর্ম ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ৩ রান করে রাসেলের শিকার হন। ফলে ২৯ রানেই ২ উইকেট হারায় কুমিল্লা। এরপর ভ্যান জিলকে নিয়ে দ্রুত রানের চাকা ঘুড়ান বাঁ-হাতি সৌম্য সরকার। ১০তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে থামেন ভ্যান জিল। মালিকের শিকার হবার আগে ২৩ বলে ২১ রান করেন তিনি। দু’জনে জুটিতে ২৯ বলে ৪৬ রান যোগ করেন। এরমধ্যে ১৭ বলে ৩১ রান করেন সৌম্য। পরবর্তীতে ৩৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সৌম্য। চতুর্থ উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৪৫ বলে ৫২ রান দলকে এনে দেন সৌম্য। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২৫ রান করেন সাব্বির।

এরপর উইকেটে সৌম্যর সঙ্গী হন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড ওয়াইজ। জয়ের জন্য এ সময় ১৫ বলে ৬৪ রান দরকার ছিলো কুমিল্লার। ১৯তম ওভারে ২১ রান নেন সৌম্য-ওয়াইজ। ফলে ৬ বলে ৩৫ রান দরকার হয় তাদের। কিন্তু শেষ ওভারে ১৯ রান নেন সৌম্য-ওয়াইজ। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেন সৌম্য। ৬ বলে ২টি ছক্কায় অপরাজিত ১৬ রান করেন ওয়াইজ। রাজশাহীর মালিক ১৯ রানে ১ উইকেট নেন।

এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৫জয় ও ১হারে ১০ পয়েন্ট রাজশাহীর। অপরাদিকে, ৭ ম্যাচে ২জয় ও ৫ হারে ৪ পয়েন্ট কুমিল্লার।

ম্যাচে সেরা হন রাজশাহীর শোয়ব মালিক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877