স্বদেশ ডেস্ক:
হীমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে কাঁপছে জামালপুরের ইসলামপুরের যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের অসহায় দরিদ্র মানুষরা। বন্যা-নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত এসব মানুষ শীতবস্ত্র ও কাজকর্মের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদনদী বেষ্টিত এ উপজেলার লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লাখ। যার অধিকাংশ মানুষ চরাঞ্চলে বসবাস করেন। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যসীমার নিচে জীবনযাপন করেন। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের চার ইউনিয়নের দেড়লক্ষাধিক ও যমুনার পাড়ের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ চরম কষ্টে রয়েছে। কৃষিকাজ ও দিনমজুরী তাদের একমাত্র ভারসা।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে যমুনার পাড়ের চিনাডুলী ও বেলগাছা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আসহায় মানুষগুলোর করুণ অবস্থা। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। শীতের কাপড় না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। শীতের কারণে কাজকর্ম নেই, তাই থাকতে হয় অনাহারে-অর্ধাহারে। দেওয়ানপাড়া গ্রামের আহালু (৬৫), ফুলেছা (৬০), কমেলাসহ (৫০) এমন অবস্থা নদী ভাঙনের শিকার অসংখ্য অসহায় মানুষের।
চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ নদী ভাঙন ও বন্যাকবলিত অসহায়-দরিদ্র। সরকার থেকে সামান্য কিছু কম্বল পেয়েছি। তা দিয়ে সবার চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু নয়া দিগন্তকে বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য সাত হাজার ৩০০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। উপরি মহলে আরো চাহিদা দেয়া হয়েছে।