আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট। বাজেট নিয়ে থাকে সাধারণ মানুষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। তাদের কাছে সরকারের আয়-ব্যয়, ঘাটতি যেমন পরিষ্কার নয় তেমনি প্রস্তাবিত বাজেট ঠিক কতটুকু জনকল্যাণকর ও বাস্তবসম্মত তা স্পষ্ট নয়।
জানতে চেয়েছিলাম প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া।
শ্রমজীবী রশিদ হাওলাদার জানান, বাজেট মানেই জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। যাদের টাকা আছে তাদের টাকা আরো বাড়বে, যাদের নেই তাদের বিভিন্ন কাজে আরো বেশি টাকা গুনতে হবে।
ফার্মগেটে ফুটপাতের হকার ইসমাইল জানান, বাজেট যাই হোক আমরা ফুটে নিরাপদে ব্যবসা করতে চাই। চাকরি নিতে টাকা লাগে। তার চেয়ে এখানেই ব্যবসা করে পরিবারের হাল ধরতে চাই।
ইসমাইল জানান, শুনেছি আজ বাজেট পেশ হচ্ছে। কিছু কিছু পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানিরা। বাজেটে আমাদের মতো গরীবের কোনো লাভ নেই, টাকাওয়ালাদেরই লাভ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম জানান, বাজেটে সাধারণ মানুষের আশা-আকঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেন হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত যেন প্রাধান্য পায়। আর কর্মসংসাথান সৃষ্টি, ঘাটতি পূরণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটা প্রথম বাজেট। একইসাথে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’ বাজেট। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। বাজেটের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। শুধু এক বছরের জন্য নয়, সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবারের বাজেট।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাথারণ মানুষের প্রত্যাশা নিত্যপণ্যের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়। একইভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বিদুৎ, তেল, গ্যাস, পানি, পয়ঃনিষ্কাশনসহ জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান সাধারণ মানুষ।