রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

আত্মহত্যা না হত্যা : কী হয়েছিল রুম্পার?

আত্মহত্যা না হত্যা : কী হয়েছিল রুম্পার?

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। রুম্পা হত্যার শিকার হয়েছিল নাকি আত্মহত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় রুম্পার প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতকে গ্রেফতার করা হলেও আপাতত ‘আত্মহত্যা’য় আটকে আছে তদন্ত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে খোদ তদন্ত টিম।
গত ৪ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টায় সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচ থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন পুলিশ রুম্পার পরিচয় নিশ্চিত করে। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত।

রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকার ২৫৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে মা-ভাইয়ের সাথে থাকতেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি রমনার জোনাল টিমের পরিদর্শক শাহ মো: আকতারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়া হবে। তবে এ ঘটনায় রুম্পার প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতকে গ্রেফতার করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সৈকতকে গ্রেফতারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় সৈকত। তবে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে সৈকত রিমান্ডে পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে রুম্পার সাথে তার দেখা হয়েছিল। সেখানে রুম্পাকে সৈকত বলেছেন, তোমার সাথে আজ আমার শেষ দিন। আমাদের আর দেখা হবে না। আমি ব্রেকআপ করছি। তবে রুম্পা এই সম্পর্কে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন, তিনি কোনোভাবেই সৈকতকে ছাড়া ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে পারছিলেন না। তিনি কয়েকবার সৈকতকে সম্পর্ক না রাখলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকিও দেন।

রুম্পার লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি ভবন থাকলেও রুম্পাকে কোন ভবন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে বা তিনি কোন ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ডিবি বলছে, তিনটি ভবনের কোনটি থেকে তিনি লাফ দিয়েছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মো: আকতারুজ্জামান ইলিয়াস মামলার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে পাশাপাশি তিনটি ভবন, ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা বলতে পারব কোন ভবন থেকে সে নিচে পড়েছিল। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলার সময় এখনো হয়নি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877