পিরোজপুর প্রতিবেদক: সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে গাও গ্রামে মুরগীর ফার্ম করে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে আটঘরের মেম্বরের বিরুদ্বে। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি বাচ্চা শিশুদের জিম্মি করে মরগীর ফার্মা করে এলাকায় ক্ষতি সাধন করারও অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ফার্ম মালিক ও মেম্বরের বিরুদ্বে। স্থানীয় সূত্র জানায় আটঘর কুডিয়ানার বাবুল মেম্বর সমাজ ও রাস্ট্রের আইন কানুনের ধারা উপেক্ষা করে মনগড়া মুরগীর ফার্ম করে আটঘর এলাকায় চরম বিতর্কিত হয়েছে বলে এলাকার সুশীল সমাজ জানান। স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনি কাগজ পত্র না নিয়ে প্রাইমারী স্কুলের সন্নিকটে ফার্ম করেন খেয়াল খুশি মতন। স্কুল থেকে মাত্র ২০ ফিট দুরে বাবুল মেম্বরের ফার্ম। বিশ্রী গন্ধে কোমল মতি শিশুরা স্কুলে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে অনেকে। পাশাপাশি স্থানীয় অভিবাবকরাও বেজায় ক্ষুদ্ব। বাবুল মেম্বরের মুরগীর ফার্মের কাছে যেন জিম্মি স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রাইমারী স্কুলের সকল শিক্ষক সহ ছাত্র ছাত্রীরা।

এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন ফার্মের বাজে গন্ধের হাত থেকে বাচার জন্য স্থানীয় পরিষদে মৌখিক অভিযোগ দেন। পাশাপাশি লিখিত আকারে স্থানীয় ভূমি অফিস বারাবর এলাকার লোকজন লিখিত আকারে অভিযোগ প্রদান করেন। এদিকে স্বরূপকাঠীর প্রেস ক্লাবেও অভিযোগ দেন। সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সরাসরি ধলহারের প্রাইমারী স্কুলে যান। বাস্তবে অভিযোগের শতভাগ সত্যতা খুজে পান মিডিয়া কর্মীরা। তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় ইউ পি সদস্য বাবুল মন্ডলের সাথে মোবাইলে কথা হয়। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি এটাও বলেন আমি পর্দা টানিয়ে দিয়েছি কিন্তু। তবে এটাও সত্য, তারপরও বিশ্রী গন্ধ আসছে ফার্ম থেকে। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিকল্প জায়গা খুজতেছি এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
এদিকে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাও সরাসরি অবলোকন করেন অভিযোগের বিষয়ে। তিনিও সহমত কোমলমতি শিশুরা এক ধরনের জিম্মি ফার্মের গন্ধের কাছে। মিডিয়ার প্রশ্নে ভূমি অফিসার বলেন, আমরা আগামীতে লিগাল নোটিশ প্রদান করিব আইনানুসারে। পরবর্তীতে নোটিশের জবাবের উপর আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো। সর্বশেষ তথ্য মতে এলাকার সুশিল সমাজের লোকজনের দাবী, এলাকার স্বার্থে ও স্কুল প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি বাচ্চাদের কথা ভেবে অচিরেই ফার্ম সরিয়ে নেওয়া দরকার।