শহরে বসবাসকারী নারীদের প্রজননক্ষমতা পরিবেশ ও খাবারের বৈচিত্র্যের কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনুকূল পরিবেশ, নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার ধরে রেখেছে প্রামীণ নারীদের প্রজননহার।
বর্তমানে প্রতিহাজার নারীর ক্ষেত্রে সাধারণ প্রজননহার ৬৭ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় এ হার ৭৭ শতাংশ এবং শহরে তা মাত্র ৫৬ শতাংশ। ফলে প্রজননক্ষমতায় শহরের নারীদের তুলনায় এগিয়ে গ্রামের নারীরা।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উঠে এসেছে এ চিত্র। এ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান হয় আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে। গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
বিবিএস জানায়, মোট প্রজনন হার ২০১৮ সালে পাওয়া গেছে ২ দশমিক ০৫, যা ২০১৪ সালে ছিল ২ দশমিক ১১। প্রজননের সব পরিমাপ তুলনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশে জন্মের হার অনেকটা স্থির অবস্থায় রয়েছে।
কমে আসছে মাতৃ মৃত্যুর হার : মাতৃ মৃত্যুর হার গত পাঁচ বছরে কমে এসেছে। ২০১৪ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বর্তমানে মাতৃ মৃত্যুর হার কমে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশে গড় মরণশীলতা প্রতিহাজারে ৫ জন, যা পল্লী এলাকায় ৫ দশমিক ৪ জন এবং শহরে ৪ দশমিক ৪ জন। ফলে শহরের তুলনায় গ্রামে মরণশীলতার হার বেশি।
কম বয়সে বিয়ে করছে পুরুষ : বিয়ের বয়সসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্প্রতি পুরুষদের মধ্যে কম বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়েছে। তবে নারীদের বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য নেই। ২০১৪ সালে নারীদের বিয়ের গড় বয়স ছিল ১৮ দশমিক ৩ বছর। বর্তমানে তা একই অবস্থানে রয়েছে।