২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত অর্থাৎ গত ১০ বছরে ২৫ হাজার ৫২৬ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এই সময়ে ১৯ হাজার ৭৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার মামলাগুলো আপসে নিষ্পত্তি হয়েছে, তা এ বিভাগে সংশ্লিষ্ট নয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিআরটিএ ও অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) বুয়েট কতিপয় কারণ নির্ণয় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- পথচারীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের যথাযথ সচেতনতার অভাব, যানবাহনের চালকগণের দক্ষতার অভাব। আইন অমান্য করার প্রবণতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। সড়ক দুর্ঘটনায় যে মানুষ মারা যাচ্ছে তার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে ওভারলোডিং, ওভারটেকিং, যান্ত্রিক ত্রুটি, যাত্রীদের অসচেতনতা, চালকদের ট্রাফিক সাইন না মানা, এক নাগাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো।’
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘এবারের ঈদের ১২ দিনে ১৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ এ দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের দুর্ভাবনার বিষয়। কিন্তু দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে দেয়। বিভিন্ন ধরনের হিসাব আছে। এর সংখ্যা ৪৬ থেকে ৬৬টি। দুর্ঘটনা এবার কম হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর হার বেড়েছে। কারণ, ছোট ছোট যানগুলো যখন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে মহাসড়কে আসে তখন বড় গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি বাড়ে।’
সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, ‘সড়কের জন্য এখন দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে, তা কিন্তু নয়। রাস্তা এখন অনেক ভালো। ইতিহাসের সবচেয়ে রুটস সেফটি। সমস্যা মানসিকতার। মানসিক পুনর্গঠন দরকার। সবাই সচেতন হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’
অপর প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে, কিছু ক্ষেত্রে অবহেলাও আছে। তবে যথাযথভাবে প্রয়োগ করার জন্য প্রয়াস অব্যাহত আছে।’