সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লাকে হারিয়ে জয় পেল ঢাকা

কুমিল্লাকে হারিয়ে জয় পেল ঢাকা

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকার প্লাটুনের দেয়া ১৮১ রানের টার্গেটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে থেমে যায় কুমিল্লা। শুরুর দিকে দারুণ শুরু করলেও তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি কুমিল্লা।

১৮১ রান তাড়া করতে নেমে রাজাপক্ষের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় কুমিল্লা। রাজাপক্ষে মাত্র ১২ বলে ২৯ রান করে ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য ও মালান। দলীয় ৮৬ রানে সৌম্য ফেরার পর মাত্র ৪ রান করে ফেরেন সাব্বির।

অধিনায়ক শানাকাও দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে কুমিল্লা। শেষ দিকে অঙ্কন ২৭ বলে ৩৭ করে দলকে এগিয়ে নিলেও হারতে হয় কুমিল্লাকে।

ম্যাচে থিসারা পেরেরা ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। আর ওয়াহাব রিয়াজ ২ উইকেট ও মাশরাফি ১ উইকেট নেন।

এর আগে তামিম ইকবাল ও শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেটের ষষ্ঠ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রান করেছে ঢাকা প্লাটুন। তামিম ৫৩ বলে ৭৪ ও পেরেরা ১৭ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানের বলে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়েন ঢাকার ওপেনার এনামুল হক। তাই খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর উইকেটে গিয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসান। ১২ রানে ফিরেন তিনি। অন্য প্রান্তে ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে সর্তক অবস্থায় ছিলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ক্যাচ ফেলেন কুমিল্লার সৌম্য সরকার। ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সকে নিয়ে ধীরলয়ে এগোতে থাকেন তামিম। উইকেট সেট হয়ে যাবার পর মারমুখী হন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আবারো জীবন পান তামিম। এবার তামিমকে জীবন দেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। পরে ৪০ বলে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁ-হাতি।

বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন ইভান্স। তবে ২ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২৩ ও দলীয় ১০১ রানে আউট হন তিনি। তার আউট কুমিল্লার জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। উইকেটে গিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফুটান শ্রীলংকার এই তারকা ক্রিকেটার । ১৬তম ওভারে কুমিল্লার আবু হায়দারের শেষ পাঁচ বলে ১টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন পেরেরা।

পেরেরার মারমুখী মেজাজ দেখে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন তামিমও। ফলে ১৫ ওভার শেষে যেখানে রান রেট ছিলো ৭-এর সামান্য বেশি সেখানে ঢাকার ইনিংস শেষে রান রেট ৯। কারন মাত্র ১৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রান করেন পেরেরা। আর তামিম ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৩ বলে করেন ৭৪ রান। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। কুমিল্লার অধিনায়ক শ্রীলংকার দাসুন শানাকা ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট নেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877