তাইওয়ানের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে হংকংয়ের শাসক তথা চীনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছেন দেশটির নাগরিক। দেশটির প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি সরকারি অফিসগুলোর সামনে অবস্থান নিয়েছেন হংকংয়ের আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ান তারা।
আজ বুধবার দেশটিতে আন্দোলনকারীদের এই সংঘর্ষে পেপার স্প্রে ছোঁড়ে পুলিশ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের থামাতে প্রস্তত ছিল পুলিশ। খবর বিবিসির।
এদিকে তীব্র এই আন্দোলনের ডামাডোলে প্রস্তাবিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিলের শুনানি পিছিয়ে গেছে। আজ বিলটি পাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (২০ জুন) করা হয়েছে।
বিল পাশের বিপক্ষে গতদিনের মতো আজও রাস্তায় নেমেছেন যুবক ও ছাত্ররা। হাজার হাজার আন্দোলনকারী রাস্তা অবরোধ করে সরকারি অফিসগুলোর সামনে অবস্থান নিয়েছে। হংকংয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেও অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এক টুইট বার্তায় হংকং পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরণের আচরণ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের বাইরে চলে গেছে। আমরা আন্দোলনকারীদের যথা শিগগির সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি, অন্যথায় আমরা আমাদের বাহিনীর সঠিক প্রয়োগ করব।’
অন্যদিকে, কালো মুখোশ ও মোজা পরিহিতি এক আন্দোলনকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, এ বিল বাতিল হলেই তারা আন্দোলন বন্ধ করবেন।
পুলিশ বলছে, তারা চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ও হংকংয়ের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের মৃত্যু হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। আন্দোলনের মুখেও হংকংয়ের শাসক ক্যারি লাম বিলটি পাসের জন্য অনড় রয়েছেন। হংকং সরকারের দাবি এ বিলটি পাস হলে তারা তাইওয়ানের সঙ্গে অপরাধী বিনিময় করতে পারবেন। তবে হংকংবাসী এ বিলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দাবি, তাইয়ানের সঙ্গে তারা কোনো প্রত্যাবর্তন মানবে না।
হংকং চীনের একটি বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। প্রায় দেড়শ বছর শাসন করায় ব্রিটিশরা হংকংয়ের দায়িত্ব চীনের কাছে দিয়ে যায়। এ অঞ্চলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তবে হংকংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো চীনই নিয়ে থাকে।