শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ তৈরি করতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

কুষ্ঠ রোগীদের ওষুধ তৈরি করতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা প্রদানে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরী এবং বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানী করে এবং তাদের ওষুধের মান খুবই ভালো।’
তিনি বলেন, ‘তাই আমি তাদেরকে বিশেষায়িত ওষুধ তৈরী করার জন্য অনুরোধ জানাতে চাই যা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য দরকার। এসব ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করার ব্যবস্থা করুন যা দ্র্রুত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

শেখ হাসিনা আজ সকালে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কুষ্ঠ উদ্যোগ’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধন করছিলেন।
শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের আগেই কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় কুষ্ঠ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, এ লক্ষ্যে আমরা যদি আন্তরিকভাবে কাজ করি, তাহলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের অনেক আগেই কুষ্ঠ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো।
কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে সমাজের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কুষ্ঠ রোগীদের সঙ্গে আচরণ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠ আক্রান্ত লোকদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করার প্রযোজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি লোকজনকে বলতে চাই যে, তারা আমাদের সমাজেরই অংশ। তাই, তাদেরকে দূরে ঠেলে দেয়া সঠিক নয়। কোন ব্যক্তির দেহে কুষ্ঠ রোগ সনাক্ত হলে, আপনাদেরকে সহানুভূতির সঙ্গে তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে এবং তিনি যাতে সুস্থ্য হয়ে ওঠেন সে লক্ষ্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি খুবই জরুরি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডাব্লিওএইচও গুডউইল এ্যাম্বাসেডর ইওহেই সাসাকাওয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। কুষ্ঠ রোগ ও এর চিকিৎসার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্য চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠ রোগীদের দেহে রোগটি সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠ রোগের কারণে প্রতিবন্ধী লোকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চাকুরি থেকে অবশ্যই বাদ দেয়া যাবে না, বরং প্রতিবন্ধী লোকের জন্য একটি অনুকুল কাজের পরিবেশ সৃষ্ঠি করতে হবে।’
সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877