স্বদেশ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিসিসিআইয়ে কি বাড়তে চলেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ? কুলিং অফ পিরিয়ড কিংবা বয়সের নিয়মে কি কোনও পরিবর্তন ঘটতে চলেছে? এসব উত্তর পাওয়ার জন্য রবিবার বোর্ডের বার্ষিক সভার দিকে নজর ছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহলের। যেখানে ফের বড়সড় সংশোধনের পথেই হাঁটলেন সভাপতি সৌরভ। লোধা সংস্কার শোধন। বেশ কয়েকটি আইন তুলে দেওয়া। ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি গঠন। ভারতীয় বোর্ড সিইও রাহুল জোহরির ভাগ্য নির্ধারণ। বিসিসিআইয়ে গত তিন বছরে যা হয়নি, রবিবার আরব সাগরে পারে সেসব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই বোর্ড সংবিধানের ধারা পালটে দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে এদিন। যার মধ্যে প্রধান ছিল কুলিং অফ পিরিয়ড।
প্রত্যাশিতভাবেই ৮৮ তম বার্ষিক সভায় এই আইনটি (কুলিং অফ) সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বোর্ডের সদস্যরা সেই প্রস্তাবে সিলমোহরও দিয়ে দেন। এই প্রস্তাব পৌঁছে এবার যাবে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নিলে দশ মাস নয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রশাসনিক ক্ষমতায় থেকে যেতে পারেন সৌরভ। অর্থাৎ সুপ্রিম নির্দেশে কুলিং অফ পিরিয়ডে বড়সড় বদল আসতে পারে বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল।
লোধা আইন অনুযায়ী, বোর্ড এবং রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় সম্মিলিতভাবে কোনও ক্রিকেট প্রশাসক টানা ছ’বছর কাটিয়ে ফেললে তাঁর তিন বছরের কুলিং অফে যাওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বোর্ড কর্তাদের মতে, এহেন ফতোয়া শুধু অবাস্তবই নয়, এর ফলে বোর্ড বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রশাসকও হারায়। এমনিতেই বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন ভাল প্রশাসক রয়েছেন। কুলিং অফের পাল্লায় পড়লে ক্রিকেট সংস্থার ক্ষয়রোগ আরও বাড়বে। এই নিয়মের গেড়োয় সভাপতি সৌরভ ও সচিব জয় শাহকেও বোর্ডের কাজকর্ম থেকে সরে দাঁড়াতে হবে শীঘ্রই। সেই কারণে এই সংশোধনের প্রস্তাবে সিলমোহর দেন কর্তারা। সুপ্রিম কোর্ট প্রস্তাবে সম্মতি দিলে সভাপতি হিসেবে যে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে বিপ্লব ঘটাতে চলেছেন মহারাজ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।