বাংলায় ‘খুঁচিয়ে ঘা করার’ একটা প্রবাদ আছে। এর সফল উদাহরণ হলো ট্রাম্পের আমলে আমেরিকা-ইরানের সম্পর্কের হাল অবস্থা। এমনিতেই ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে জন্ম নেয়া নতুন ইরান, জন্ম থেকেই কঠোরভাবে আমেরিকাবিরোধী। এটা ফ্যাশন বা গতানুগতিক ঘটনা নয়, বরং অনিবার্য। ১৯৫৩ সালে আমেরিকার হস্তক্ষেপের পর এটাই প্রথম প্রমাণ যে, ইরান ১৯৭৯ সালে এসেই সত্যি ‘স্বাধীন’ হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের বিপ্লব প্রমাণ করেছিল ইরানিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার, একমাত্র তারাই নিজেকে শাসন করার বৈধ অধিকারী। বলা যায়, ১৯৫৩ সালের আমেরিকা সিআইএ পাঠিয়ে ইরানে হস্তক্ষেপের পরে এর সফল জবাব ছিল ১৯৭৯ সালের আয়াতুল্লাহ খোমেনির ‘ইসলামি বিপ্লব’।
নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকা আফগানিস্তান ও ইরাকে হামলা ও দখল করে। এতে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোকে ক্ষমতাচ্যুত করে পুতুল সরকার বসানোর পরও ইরানের সাথে মার্কিন সম্পর্কে এতে বড় রকমের হেরফের হয়নি। ইতোমধ্যে ২০০৯ সালে ওবামা যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের মধ্যে ইরাক থেকে সম্পূর্ণ আর আফগানিস্তান থেকে ১০ হাজার রেখে বাকি সব আমেরিকান সৈন্য ফিরিয়ে আনেন। সেটা আমেরিকার ‘টেররিজমের’ যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন হয়েছে সেজন্য নয়, বরং যুদ্ধ শেষের কোনো লক্ষণ নেই; এর চেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্য আমেরিকা রাষ্ট্রের আর নেই। এবার আইএস আমলে ওরা সিরিয়া হয়ে আবার ফিরে ইরাকে শক্ত অবস্থান নিলে ওবামা এই বিপদে পড়ে যে করণীয় ঠিক করেছিলেন, সেটাই প্রথম আমেরিকা-ইরান সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের শুরু বলা যায়। ব্যাপারটা ছিল ইরাকে আইএসের উপস্থিতি ঠেকাতে হলে ওবামার আবার ইরাকে আমেরিকান সৈন্য পাঠানোর সামর্থ্য ছিল না। তাই এর বিকল্প হিসেবে আমেরিকান যুদ্ধবিমানের সমর্থনে আইএস উৎখাতের সে কাজ ইরান করে দিতে পারে। এই শর্তে এবং ইরানের ‘পারমাণবিক বোমা’ বিষয়ক তৎপরতা জাতিসঙ্ঘের নজরদারিতে স্থগিত রাখা হবে, এই শর্তে সে সময় আমেরিকা-ইরান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি হয়েছিল। জাতিসঙ্ঘ ও ইউরোপীয় নেতা দেশগুলো মিলে (পি৫+১) সবার স্বাক্ষরে তা সম্পন্ন হয়।
তাতে অবরোধ উঠে যাওয়াতে এই প্রথম ইরান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মূল ধারায় বিনা বাধায় তৎপর হয়ে যায়। কিন্তু এতে সবচেয়ে অখুশি হয়েছিল ইসরাইল। ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার পরও ইসরাইলের এই অখুশির মূল কারণ, তেল বিক্রিসহ ইরানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনের মূল ধারায় ফিরে আসা। তাই ওবামার আমলে প্রথম গড়ে ওঠা, আমেরিকা-ইরানের গঠনমূলক সম্পর্ককে মূলত জায়নিস্ট ইসরাইলের স্বার্থে ও আগ্রহে এবং সুনির্দিষ্ট আমেরিকান স্বার্থ ছাড়াই ট্রাম্প ভেঙে দেন। এটাই ট্রাম্পের সেই ‘খুঁচিয়ে ঘা করা’। ভিন্নরাষ্ট্র ইসরাইলের স্বার্থে নিজ রাষ্ট্র আমেরিকাকে বিপদে ফেলা এবং এক আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের উদাহরণ হিসেবে এটা থেকে যাবে।
গত ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আরবেরা ‘তেল অবরোধ’ করেছিল। এমনিতেই যুদ্ধে হেরেছিল, ফলে সে যুদ্ধের খরচের ভার তো আছেই। আবার তাদের প্রায় সব সদস্য রাষ্ট্রই যেখানে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা বলতে তেল বিক্রি বোঝে, এমন অর্থনীতির দেশ। তাই পশ্চিমাদের কাছে তেল বেচব না বললে তা আগে নিজেদেরই সমস্যায় ফেলা হয়ে যায়। তবুও ওই অবরোধে মাটির নিচের ফসিল জ্বালানির ওপরে দাঁড়ানো পশ্চিমা সভ্যতার অর্থনীতিতে জোরে ধাক্কা খেয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়া হয়েছিল আরো মারাত্মক, যেটা ‘কিসিঞ্জারের মিডলইস্ট পলিসি ১৯৭৩’ বলে খ্যাত। এর মূল দিকটি হলো, সৌদিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বানানো। রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে প্রটেকশন দেয়ার বিনিময়ে তারা আমেরিকার তেল পাওয়া নিশ্চিত করবে। ফলে ঐক্যবদ্ধ আরব হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হলো। এ রকমই আরেক তৎপরতার নাম হলো, ইসরাইলকে আরবের বিরুদ্ধে সক্রিয় ও তৎপর রেখে আরবদের শায়েস্তা করা। এরই আর এক অংশ হলো ক্যাম্পডেভিড চুক্তি, যাতে মিসরকে ইসরাইলের সীমান্ত প্রহরীর ভূমিকায় বসানো হয়েছে।
কিন্তু অবস্থা এখন আর একই নেই একালে যখন আমেরিকা নিজেই তেল রফতানিকারক দেশ হয়েছে। মার্কিন অয়েল আর সৌদি ফসিল ফুয়েল তেলবাজারে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। মার্কিন ফ্রেকিং অয়েলের অসুবিধা হলো এর উৎপাদন খরচ বেশি। ফলে তেলের দাম ৬০ ডলারের নিচে চলে গেলে এটা লস প্রজেক্ট। তাই দাম কমিয়ে দিয়ে সৌদিরা ফ্রেকিং অয়েলকে চাপে ফেলে বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। অতএব, এই যুগে আমেরিকা-সৌদি বন্ধন আর পুরনো ‘কিসিঞ্জারের মিডলইস্ট পলিসি’ দিয়ে আটকানো নয়; বরং সৌদিরাই নিজ স্বার্থে আমেরিকানির্ভর। কাজেই ওবামার তৈরি করা ইরান-আমেরিকা পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি থেকে আমেরিকাকে ট্রাম্পের এককভাবে বের করে আনার পক্ষে একালে আমেরিকার সুনির্দিষ্ট কোনো স্বার্থ নেই, ইসরাইলের স্বার্থ ছাড়া।
আবার ইসরাইল অথবা ইরান একে অপরকে এখনই একেবারে ধ্বংস করে ফেলতে যাচ্ছে, আসন্ন এমন কোনো স্বার্থ নেই। হ্যাঁ, বৈরিতা অবশ্যই আছে, রুটিন ধরনের। ফলে শেষ বিচারে ইরানের সাথে চুক্তি ভাঙার পক্ষে ট্রাম্প অথবা তার ইহুদি জামাইয়ের ব্যক্তিগত লাভালাভ ছাড়া আমেরিকার সিদ্ধান্তের পক্ষে কোনো যুক্তি নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সদস্য কেউ অথবা জাতিসঙ্ঘের কাছেও-যারা ওই পারমাণবিক চুক্তির স্বাক্ষরকারী একপক্ষ-তাদের কারো কাছেই ট্রাম্প নিজের ইরানের সাথে চুক্তি ভাঙার পক্ষের সাফাই প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।
ট্রাম্প এবার শুধু আমেরিকাকে চুক্তি থেকে সরিয়ে আনেননি, ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করেছেন। ট্রাম্পের এই আমলে তা করা হচ্ছে যথেচ্ছাচারে। কাউকে অপছন্দ হলেই অবরোধ। এর অবরোধ কথার ব্যবহারিক অর্থ হলো, অবরোধ আরোপ করা হয়েছে যে রাষ্ট্রের ওপর, সে আর আমেরিকান ডলারে কোনো পণ্য কাউকে বিক্রি বা কারো থেকে কেনা, কোনোটাই করতে পারবে না। কেন আমেরিকার পক্ষে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব? কারণ, ইনভয়েসে ডলারে পণ্যমূল্য লেখা থাকলে সেই মূল্য নগদায়ন করতে কোনো-না-কোনো পর্যায়ে যেকোনো এলসি খোলা ব্যাংকের একটা আমেরিকান ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কোনো আমেরিকান ব্যাংক এখন আর নিজে সে সার্ভিস দিতে চায় না। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের অবরোধ আরোপের পরে কোনো আমেরিকান ব্যাংক তা উপেক্ষা করলে, সেই ব্যাংককে নিকট অতীতে বিলিয়ন ডলারের জরিমানা দিতে হয়েছে।
আমেরিকান ডলারকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে লেনদেন বিনিময়ের একমাত্র মুদ্রা হিসেবে অনুমোদন দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা, মানে ১৯৪৪ সালের আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা শুরু করা হয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল, সেকালে আর কোনো দেশের মুদ্রা বিকল্প হিসেবে ছিল না। সবারই মুদ্রামানের কোনো তাল-ঠিকানা ছিল না অথবা ওই মুদ্রার রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ে উদ্বৃত্ত নেই, ফলে ভরসা করার মতো মুদ্রা আর ছিল না। তবে কেউই সেকালে চিন্তাও করেনি যে, আমেরিকা নিজ সঙ্কীর্ণ স্বার্থে কোনো রাষ্ট্রকে ডলার-অবরোধ আরোপ করে অন্যায় সুবিধা নেবে।
দুনিয়ার সব বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ এখনো ডলারে সম্পন্ন হচ্ছে বলে সেটাই আমেরিকার জন্য অবরোধ আরোপের সুবিধা। তুলনায় চীনের ইউয়ান ধেয়ে আসতে থাকলেও এর উঠে আসতে সময় লাগছে। সে পর্যন্ত আমেরিকা অশুভ অর্থনৈতিক মোড়লিপনার শেষ সুবিধা পাচ্ছে বলা যায়। তবে এবার অন্য কোনো মুদ্রা গৃহীত হলে তাতে সুনির্দিষ্ট করে শর্ত আরোপ করা থাকতে হবে যে, কোনো মুদ্রা আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে গৃহীত হতে হলে সংশ্লিষ্ট সেই রাষ্ট্র নিজ একক স্বার্থে কারো বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে পারবে না।
এবারের অবরোধে আরেক বিশেষ ব্যতিক্রম হলো, অন্যান্য বার অবরোধে চীন ও ভারত ইরানের তেল কিনতে গিয়ে আমেরিকার বিশেষ ছাড় পেয়ে এসেছে। কিন্তু এবার ভারত আর সেই ছাড়ের অধীনে নেই অথবা আমেরিকা থেকে ছাড় নেয়ার জন্য দরকষাকষিতে নেই অথবা করতে চায়নি; বরং বিনিময়ে আমেরিকা থেকে ভিন্ন সুবিধা পাওয়ার আশা করছে সম্ভবত। অবশ্য চীন ইরানের তেল কেনার চুক্তি অব্যাহত রেখেছে। কেবল নতুন একটা শর্তের ধারা যুক্ত হয়েছে তাতে, ইরান নিজস্ব বাহনে করে তেল পৌঁছে দেবে। বাস্তবে তা অবরোধ না মানার শামিল।
তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বহু কিছুর ইঙ্গিত এবং প্রকাশ্য রূপও বলা যায়। ওবামা আমল বা এর জেরে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক মানে ছিল আমেরিকার ‘চীন ঠেকানোর’ নীতি পালন করে এর বিনিময়ে ভারত আমেরিকা থেকে বাণিজ্যে বা অস্ত্র ক্রয় বিষয়ে নানা সুবিধা আদায়। কিন্তু ট্রাম্প আসার পর থেকে এসব সুবিধা শুকিয়ে আসছে তো বটেই, ২০১৮ সাল থেকে অবস্থা এমন যে, সব সুবিধাপ্রাপ্তিই বন্ধ, আর উল্টো ভারতীয় পণ্যেও বাড়তি ট্যারিফ-শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এমনকি এবার মোদি আবার জয়লাভের পরও আমেরিকার খাতায় ‘উন্নয়নশীল দেশ’ ক্যাটাগরি থেকেও ভারতের নাম কেটে দেয়া হলো। কিন্তু ভারতের মনোভাব এখনো একই রকম- ‘যদি ট্রাম্প সাহেবের মন আবার বদলায়’। ট্রাম্প যেভাবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন এককভাবে, এতে বোঝা যাচ্ছে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্পের পুরো আমলে অনুসৃত নীতিতে কোনো ছেদ পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবুও ভারতের একপক্ষীয় প্রেমের সমাপ্তি নেই। এ দিকে, সাউথ চায়না সি নিয়ে বিতর্কে আমেরিকা এখন অনেকটা গায়ে পড়ে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। নানান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। সেখানে ভারতের কোনো স্বার্থ না থাকলেও ভারত যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
ভারতের আচরণে, সব দেখেশুনে এবার ইরানেরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। অবরোধে ইরানি তেল কেনার বিনিময়ে ভারত সব সময় মূল্য ছাড় পেয়ে এসেছে। ইরানও ধৈর্যের সাথে তা দিয়ে এসেছে। কিন্তু এবার অবস্থা সম্ভবত ভিন্ন। এ নিয়ে মুখোমুখি হতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে এসেছিলেন গত মে মাসে। ভারতের মিডিয়ায় লিখেছে সে খবর। সেখানে আমরা জানছি, ভারত আর কী কী সুবিধা নিয়েছে ইরানের কাছ থেকে!
ইরানের চাবাহার সমুদ্র উপকূলে অগভীর বন্দর হলেও এই পোর্টে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক সুবিধার দিকটি হলো, একে ব্যবহার করে ভারত পাকিস্তানের ভূমি বা বন্দর ব্যবহার না করেই আফগানিস্তান বা মধ্য এশিয়ার দেশে পণ্য আনা-নেয়া করতে পারে। এ কারণে এই বন্দরে অংশত বিনিয়োগ ভারতেরও আছে। তবে ‘প্রচারে ওস্তাদ’ ভারত এটাকে গোয়াদর গভীর বন্দরের সমতুল্য বলে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করে থাকে।
ভারতের মিডিয়া লিখেছে, ইরান এবার চাবাহার পোর্ট নিয়ে ভারতকে পাল্টা চাপ দিয়েছে। এ ছাড়া, পাকিস্তানের কলামিস্টদের লেখায় উঠে এসেছে, ইরান চাবাহার বন্দরকে গোয়াদর বন্দরের সহযোগী করে গড়তে চীন ও পাকিস্তানের সাথে আলাপ শুরু করেছে। এত দিন এটা ইরান চিন্তাও করেনি ভারতের স্বার্থে।
ভারতের আমেরিকা বা ট্রাম্পবিষয়ক ‘একপক্ষীয়’ প্রেম সম্ভবত আরো বেশ কিছুদিন থাকবে। এসসিও বা সাংহাই করপোরেশন অর্গানাইজেশন মূলত চীন, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া- মিলিয়ে একটি সামরিক ও বাণিজ্যিক জোট। গত বছর এতে সদস্য করে নেয়া হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকেও। এ বছরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়েছে গত মাসের শেষে। আর রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে চলতি মাসের মাঝামাঝি। ভারতের মিডিয়ায় খবর, ইমরানের সাথে একই সভায় মোদির সাক্ষাৎ হলেও সাইড লবিতে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে না। এবারো নির্বাচনে জিতে আসার পেছনে ‘পাকিস্তানে বোমা মেরে আসা বীর’ মোদি এই প্রপাগান্ডা বিরাট কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। সামনে মোদির এমন অনেক কাজ বাকি। তাই স্বভাবতই ‘বীরের’ ইমেজ মোদি সহসাই হারাতে চাইবেন না। তাই অন্তত প্রকাশ্য নীতিতে মোদি সহসাই কোনো বদল আনছেন না।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক