স্বদেশ ডেস্ক: পবিত্র ভূমি মক্কায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২০ সালের হজের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হবে আগামী বুধবার। এ উপলক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল সোমবার সৌদি আরবে আসছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের হজ চুক্তিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ২০ হাজার বৃদ্ধি, হজের ব্যয় কমানো, ঢাকা-মদিনা হজ ফ্লাইট ৫০ শতাংশ চালু,সরকারি ব্যবস্থাপনার কোটা ২০ শতাংশ করাসহ হজযাত্রীদের জন্য সহায়ক বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব থাকছে।
সূত্র মতে, ওআইসি কনভেনশন অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি হাজারে একজন করে হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ দেয় সৌদি সরকার। বাংলাদেশের মুসলিম জনসংখ্যার পুরোনো হিসাব অনুসারে সর্বশেষ চলতি বছর হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন দেওয়া হয়েছিল। তবে বাস্তবে হজ পালনে আগ্রহীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো কোটা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার। ওআইসির নিয়মানুসারে, এ জনসংখ্যার অনুপাতে এবারের হজ চুক্তিতে এক লাখ ৪৮ হাজার জনের কোটা চাওয়া হবে। এটি অনুমোদিত হলে আগের চেয়ে এবারের কোটায় ২০ হাজার ৮০২ জন বাড়বে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র জানায়, আগামী বছরের হজ চুক্তিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০ শতাংশ হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব থাকছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে জেদ্দায় ৫০ শতাংশ এবং মদিনায় ৫০ শতাংশ হজ ফ্লাইট চালুর আবেদন করা হচ্ছে।
অতীতের যেকোনো বছরের তুলনায় ২০১৯ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হাজিরা নিরাপদে এবং ভালো ব্যবস্থাপনায় হজব্রত পালন করতে পেরেছেন। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনেও বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।