ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে ঢাকার গুলিস্তান রুটে চলাচলকারী স্বদেশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মেঘনা নিউটাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় লোকজন গাড়ির অভিযুক্ত চালককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত চালক শামীম মিয়া উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুুুর রব মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর হেলপার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণী বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানার মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় ডাচ বাংলা প্যাকেজিং নামের একটি ফ্যাক্টরিতে অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ঈদের ছুটি কাটিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে সোমবার রাত ৯টার দিকে গুলিস্তান এসে গজারিয়া ফেরার জন্য স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। পরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে সকল যাত্রী নেমে যায়। ওই তরুণী যাত্রীদের সাথে নেমে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত চালক শামীম তাকে মেঘনা ঘাট নামিয়ে দেয়ার কথা বলে আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় গিয়ে হেলপারের কাছে ড্রাইভিং ছেড়ে দিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে পেছনে সিটে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিল। এসময় স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরো দ্রুতগতিতে চালানো হয়। ওই বাস থেকে এক কিশোরীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন গাড়িটি থামিয়ে দেখতে পায় চালক শামীম ওই তরুণীকে নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। এসময় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত চালক শামীমকে গণধোলাই দিয়ে পুুুলিশে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে হেলপার পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাওহিদ উল্লাহ জানান, স্বদেশ বাসে ধর্ষণের খবর পেয়ে মেঘনা নিউটাউনে গিয়ে জনগণের হাত থেকে ধর্ষক ও গাড়িটি আটক করেছি।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চালক ও বাসটি আটক করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত ও আটককৃত বাসটি থানার হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।