স্বদেশ ডেস্ক: মহিলা পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। হায়দরাবাদের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। আর তারই মধ্যে শিরোনামে উঠে এল নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। অভিযুক্ত ছ’জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জন্মদিন সেলিব্রেট করতে বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্কে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, রাত ন’টা নাগাদ ফেরার পথে কয়েকজন কিশোরী ও তার বন্ধুদের পিছনে ধাওয়া করে। এরপর বন্ধুদের মারধর করে একটি ফাঁকা জায়গায় কিশোরীকে টেনে নিয়ে যায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার ভিডিও করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোনওক্রমে সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফেরে কিশোরী। পরের দিন গোটা ঘটনা মাকে জানায় সে। তারপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় কিশোরীর পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এমন ভয়ংকর ঘটনায় মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে কিশোরী।
তামিলনাড়ুর পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটেও। ঘটনা শুক্রবার রাতের। মায়ের সঙ্গে পার্কে ঘুমচ্ছিল আট বছরের নাবালিকা। হাতে ছুরি নিয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে এক ব্যক্তি। তারপর ফাঁকা স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন সকালে নাবালিকাকে ঝোপের মধ্যে থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তার মা। পরীক্ষা করে ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। শনিবার সকালে থোরালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তের খবর দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ।