স্বদেশ ডেস্ক: সিগারেটের নেশা ছাড়তে পারছেন না তো? এক বেলাতেই ফুঁকে উড়িয়ে দেন এক প্যাকেট! দিন শেষে সংখ্যাটা কত দাঁড়ায়, হিসেবও রাখেন না? কিন্তু, এর পরিণতি যে কতটা খারাপ হতে পারে তা নিজের চোখেই দেখে নিন চেন-স্মোকাররা। আর তামাক-বিরোধী বিজ্ঞাপনের বাস্তব রূপও এর চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না।
সম্প্রতি চিনের জিয়াংসুর উক্সি হাসপাতালে ৫২ বছরের ব্রেন ডেথ হওয়া এক ব্যক্তির ফুসফুস কেটে বের করা হয়। ওই ব্যক্তি মরণোত্তর ফুসফুস দান করে গিয়েছিলেন। তাই কোনওভাবে তাঁর ফুসফুসটি অন্য কোনও রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায় কিনা তা দেখতে অঙ্গটি শরীর থেকে কেটে বের করেন ডাক্তাররা। আর তখনই তার রং দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। হাত করে ধরতেও ভয় পাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই সময়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হতেই তা ভাইরাল হয়েছে।
শরীর কেটে বের করতেই দেখা যায় সম্পূর্ণ পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে ফুসফুসটি। গোলাপির বদলে ওই ফুসফুসের রং বদলে নিকষ কালো হয়ে গিয়েছে। কালো চারকোলের পুরু স্তরের মতো। বাইরে থেকে যা দেখতে লাগছে বীভৎস। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত অঙ্গদাতার পরিবারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি গত ৩০ বছর ধরে প্রতিদিন এক প্যাকেট করে সিগারেট খেতেন। তাঁর এই ধূমপানের অভ্যাসের কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের জটিল রোগে ভুগছিলেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস কারও কোনও কাজে লাগবে না। তাই মৃত ব্যক্তির ফুসফুস দান করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
ফুসফুসটিকে দেখিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন চিনের বিখ্যাত ফুসফুস প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ ডা. চেন বলেন, ‘নিয়মিত ধূমপান করলে এমনই মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয় ফুসফুসের। এরপরও কি আপনাদের ধূমপান করার সাহস হবে?’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সমস্যা শুধু চিন বা উন্নত দেশগুলির নয়, ধূমপানের জেরে প্রতি ছ’সেকেন্ডে ভারতেও একজন মারা যাচ্ছেন।