সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন

শঙ্কা কাটছে না বুয়েট শিক্ষার্থীদের

শঙ্কা কাটছে না বুয়েট শিক্ষার্থীদের

শঙ্কা কাটছেই না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট)শিক্ষার্থীদের। অভিযুক্ত ২৫ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হলেও তাদের মধ্যে ৪জন অধরা থাকায় যে কোন সময় হামলাসহ জীবননাশের শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

বুধবার দুপুরে বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আবরার হত্যার বিচারসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি ছিল প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। শিক্ষার্থীরা দায়িত্ববোধ থেকে মিছিল-মিটিংয়ে সময় দিয়েছে। শুধু বুয়েট ক্যাম্পাস নয় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে তখন একই দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। এখন একটি পক্ষ বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থীকে বিএনপি জামায়াতের ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। তাতে অনেকে এখন ক্যাম্পাসে আসা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

১৬তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আন্দোলন চলাকালীন ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অন্তরা তিথি ক্যামেরার সামনে কয়েকবার কথা বলেছিলেন। এখন তার বিরুদ্ধে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী ও আন্দোলনের হোতা হিসেবে চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইভাবে আরো যারা আন্দোলনের সময় ক্যামেরার সামনে ছিলেন তাদেরকেও একইভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।

১৭তম ব্যাচের শেরে বাংলা হলের অপর এক শিক্ষার্থী জানান, হলের পরিবেশ আগের চেয়ে ভাল মনে হচ্ছে। হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে খোঁজ রাখছেন। তবে এই অবস্থা কতোদিন থাকবে সেটা নিশ্চিত নয়। এছাড়া তারা বুয়েট প্রশাসনের উপরও আস্থা রাখতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলে ক্লাসে ফিরতে বুয়েট প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তখন শহীদ মিনারের পাদদেশে ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সংশপ্তক এ তথ্য জানিয়েছেন। একই দিন বেলা ১টার দিকে বুয়েট প্রশাসনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম দাবিগুলো বিবেচনা করতে তিন সপ্তাহ সময় চান। তখন উপস্থিত ডীনরা দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে চেষ্টা করবেন বলে জানান। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- মামলায় অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, আহসানউল্লা, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ি শাস্তি, সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি এবং র‌্যাগিংয়ে শাস্তির বিধান স্পষ্ট করা।

১৬তম ব্যাচের অপর এক শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরি নওফেল বুয়েটের আন্দোলনে ‘এক অভিভাবক জড়িত’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান ও পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আন্দোলন ছিল একটি সার্বজনীন দাবি। শুরু থেকেই সেখানে কোন রাজনীতি বা কোন পক্ষকে আমরা আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেইনি।

এছাড়া অভিযুক্তদের শাস্তির বিধান ও দাবিকৃত তিন দফা পুরনে প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, প্রশাসন চাইলে অল্প সময়ে তিন দফা দাবির বাস্তবায়ন সম্ভব। এই তিন দফার কারনে তাদের পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ি অভিযুক্তদের শাস্তি হবে। তিনি বলেন, আশা করছি খুব শিগরির একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877