অনেক স্বপ্ন নিয়ে দুই লাখ টাকা ঋণ এবং ভাতিজা আবুল হাসেমকে অর্ধেক শেয়ারে নিয়ে হাঁসের খামার করেছিলেন আবুল কাশেম। তিন মাস ধরে নিবিড় পরিচর্যা করায় বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছিল খামারের হাঁসগুলো। প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবারও বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ক্ষেতে আধার (খাবার) খাওয়াতে নিয়ে যান আবুল কাশেম। ধানকাটা ক্ষেতে জমে থাকা পানি খেয়ে হাঁসগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছটফট করতে করতে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে। এভাবে চোখের সামনেই একে একে মারা যায় আট শতাধিক হাঁস।
খামারি আবুল কাশেমের ধারণা, শত্রুতা করে ওই ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করেছিল কেউ। এর ফলেই প্রাণ হারাল জলজ্যান্ত হাঁসগুলো। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বলাইশিমুল ইউনিয়নের ছবিলা গ্রামে গতকাল সকালে ঘটে এমন নিষ্ঠুর ঘটনা। সরজমিন গেলে হাঁসের খামারের মালিক আবুল কাশেম ও আবুল হাসেম জানান, শফিক নামে এক বেপারীর কাছে প্রতিটি দেড়শ টাকা দরে ১ হাজার ৭০০ হাঁস বিক্রি করা হয়েছিল।
রবিবার হাঁসগুলো নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিষে আক্রান্ত হয়ে ৮ শতাধিক হাঁস মারা যায়। আবুল কাশেম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খুব কষ্ট করে দুই লাখ টাকা ঋণ এনে এবং ভাতিজা আবুল হাসেমকে অর্ধেক শেয়ারে নিয়ে হাঁসের খামারটি করেছিলাম। হাঁসগুলো এভাবে মারা যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। কী করে ঋণ পরিশোধ করব, সে চিন্তায় এখন দিশেহারা।
কাশেম আরও জানান, হাঁসগুলোকে প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ক্ষেতে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যান। ধান কাটা ক্ষেতের পানি খেয়ে হাঁসগুলো অসুস্থ হয়ে একে একে মারা যায়। এতে তাদের দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। কে বা কারা ক্ষেতের পানিতে বিষ প্রয়োগ করেছেন, বলতে পারছেন না। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করবেন। এ ছাড়া মৃত হাঁসগুলোর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করাতে চান বলেও জানান আবুল হাশেম।